Main Menu

জেলার সর্বত্রই অবাধে চলছে কারেন্টজালে মাছ নিধন, বংশবৃদ্ধি বিনষ্ট

+100%-

 

সরকার নিষিদ্ধ কারেন্টজাল দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর, সরাইল, নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নদ-নদী, হাওড় ও বিলে অবাধে নিধন করা হচ্ছে মাছ। এরফলে মাছের অবাধ বিচরণ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি মাছের বংশবৃদ্ধি বিনষ্ট হচ্ছে।

অন্যদিকে মা মাছগুলো ধরা পড়ায় দেশীয় মাছের আকাল দেখা দিতে পারে বলে জনমনে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ সব বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হচ্ছেনা কোনো ব্যবস্থা।

সরজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সরাইল উপজেলার চুন্টা, ভৈশ্বর, ব্রাহ্মণগাঁও, জয়ধরকান্দি, কালিশিমুল, অরুয়াইলের হাওড় বিস্তৃত তিতাস ও মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা, নবীনগরের বগডহর, মেরকুটা, বাঘাউড়া, শিনামাছি, কুড়িঘর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় কারেন্টজাল দিয়ে অবাধে মাছ নিধন করছে জেলেরা। আইনের তোয়াক্কা না করে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল দিয়ে ছোট বড় সব ধরনের মাছ নিধন করছে স্থানীয় জেলে ও সাধারণ মানুষ। এসব মাছের মধ্যে দেশীয় মাছের সংখ্যাই বেশি।

উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভৈশ্বর গ্রামের বর্তমান মেম্বার আবুল বাশার জানান, অবৈধ কারেন্টজাল দিয়ে বেআইনিভাবে দেশীয় মাছ নিধন করা হচ্ছে। আমি মৌখিকভাবে অবৈধভাবে মাছ নিধনকারীদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি।

পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক অবৈধভাবে কারেন্টজাল দিয়ে মাছ নিধনের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’

উপজেলা মৎস কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ‘ব্যক্তিগত মালিকানা জমিতে স্থানীয় লোকজন জাল দিয়ে মাছ ধরতে শুনেছি। কারেন্টজাল দিয়ে মাছ নিধনের কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।






Shares