Main Menu

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ড: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারকের আপিলের রায় ৩০ জুলাই

[Web-Dorado_Zoom]

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ১১ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মো. মোবারক হোসেনের করা আপিলের ওপর রায়ের জন্য ৩০ জুলাই তারিখ রেখেছেন আপিল বিভাগ।

শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে আপিল করেন মোবারক, যার ওপর ৮ জুলাই শুনানি শুরু হয়। ১৬ জুলাই দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়। সেদিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আজ শুনানির জন্য দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে আজ আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ৩০ জুলাই তারিখ ধার্য করেন।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোবারককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তাঁর বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে মোবারককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অপর তিনটি অভিযোগ (২, ৪ ও ৫ নম্বর অভিযোগ) প্রমাণিত না হওয়ায় এগুলো থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি জামায়াতের ইউনিয়ন পর্যায়ে রুকন হন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর দণ্ডাদেশ বাতিল ও খালাসের আরজি জানিয়ে মোবারক ২০১৪ সালে আপিল করেন। এ আপিল ওপর আজ শুনানি শেষ হয়।

আদালতে মোবারকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ইমরান এ সিদ্দিক শুনানি করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম শুনানিতে অংশ নেন।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ১ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। দুটি অভিযোগ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করা হয়। আপিলের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ৩০ জুলাই রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করেছেন।সূত্র: প্রথম আলো






Shares