Main Menu

হরতাল-উত্তেজনা উপেক্ষা করেই উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী, ৪ উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি (ভিডিও)

+100%-

উপজেলা আওয়ামীলীগ আহুত হরতালসহ সকল বাধা উপেক্ষা করে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার নব নির্মিত প্রাণি সম্পদ কার্যালয় ভবনের ফলক উদ্বোধন করেছেন। তবে মন্ত্রী চান্দুরায় পূর্ব ঘোষিত সুধী সমাবেশ বাতিল করেন।

রোববার দুপুর ১টায় মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এমএসসিসহ বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব বহর নিয়ে বিজয়নগরে পৌছান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে বেশ কিছু আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বিজয়নগর চান্দুরা সড়কের পাশে অবস্থান নেয়। মন্ত্রী আসার পর তাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়।তবে হরতাল আহবানকারীদের তৎপরতা তেমন চোখে পড়েনি।

গত ৩দিন ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বিজয়নগরে । বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামীলীগ মন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচী ঘোষনা করে। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রশাসন শনিবার রাতে জেলার বিজয়নগর, আশুগঞ্জ, সরাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় রোববার ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে। দুপুরে র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবির জওয়ানদের গাড়ী বহর বিজয়নগরে পৌছান। চান্দুরা হয়ে বিজয়নগর যাবার পথে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে ইটের আঘাতে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহম্মেদ মাথা ফেটে যায়। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী সভা শেষে মন্ত্রী নব নির্মিত ভবনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

তবে মন্ত্রী প্রানী সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রে অবস্থান কালে কয়েকশ গজ দূরে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদিকা আলম তাঁরা দুলি, জেলা যুব মহিলালীগের যুগ্ম সম্পাদিকা মুক্তি খান, বিজয়নগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন্নাহার টুনির নেতৃত্বে মহিলা নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে।

এসময় তারা কালো পতাকা বহন ও জুতা প্রদর্শন করে।

মন্ত্রী চলে আসার পর প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৩টি ককটেল বোমা বিষ্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।

এদিকে জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২ প্লাটুন বিজিবি, ৫ সেকশন র‌্যাব, এপিবিএন সদস্যসহ দেড়শতাধিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এদিকে, শুক্রবার মন্ত্রীর নাম ফলক ভাংচুর ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে এ ঘটনায় প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে ১২০জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরি বলেন, আমরা অপেক্ষায় ছিলাম তিনি ভবনটি উদ্বোধন করতে আসবেন। কিন্তু তিনি শুধু আমাকে নয় জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ এমনকি উপজেলা পরিষদকে না জানিয়েই এখানে এসেছেন। যে কারণে কোনো নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে ছিলেন না।

তবে মৎস্য মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীরা বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের কারণে তারা পারেনি। সরকারি কার্যালয় কারা ভেঙ্গে সেটি খোঁজে বের করা হবে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সম্পাদকের কঠোর সমালোচনা করেন।

 






Shares