Main Menu

নাসিরনগর ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চলছে মাত্র ১ চিকিৎসক দিয়ে

+100%-

মোঃআব্দুল হান্নান : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চলছে মাত্র ২জন চিকিৎসক দিয়ে । এতে মুখ থুবড়ে পড়েছে উপজেলার চিকিৎসা ব্যাবস্থা । জানা গেছে নাসিরনগর উপজেলা সাড়ে তিন  লাখের ও অধিক জনগনের বসবাস রয়েছে । ৩ লাখ লোকের চিকিৎসা সেবার এক মাত্র প্রতিষ্ঠান নাসির নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট মেডিসিন, জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট সার্জিকেল, জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট ত্র্যাসেথেসিয়া, জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট গাইনি ও অবস, জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট চু, জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট অর্থো সার্জারি, জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট কার্ডিওলোজি, জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট চর্ম ও যৌন, জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট ইএনটি,মেডিকেল অফিসার সহকারী ডেন্টাল সার্জন এম ও(ইওসি) ইএমও, আই এম ও, এম ও ত্র্যানেসথেসিয়া, এম ও(প্যাথোলজিস্ট) সর্ব মোট ২১ জন ডাক্তার কর্মকর্তার পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছে মাত্র এম ও(প্যাথোলজিস্ট) একজন। বাকি ২০ টি পদই শূন্য রয়েছে। অপর দিকে ৫জন নার্স কর্মরত থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ২জন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকার কারণে চরম র্দুভোগ পোহাচ্ছে রোগীরা। শনিবার বেলা ১১ ঘটিকায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় রোগীদের করুণ চিত্র। দুর দুরান্ত থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা হাসপাতালের বারান্দায় এবং আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। অনেকে আবার চিকিৎসা নিতে না পেরে ডাক্তারদের গালমন্দ করছে। আবার অনেকেই ভয়ে মুখ খুলছেনা। এখানে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগীর বাড়িই দূরদূরান্তের অজয়পাড়া গ্রামে। অনেক কষ্ট করে রিক্সা ও গাড়ি ভাড়া খরচ করে চিকিৎসা নিতে এসে ডাক্তার না পেয়ে অসহায়ত্ব বোধ করছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবু সালেহ মোঃ মুসা খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বাীকার করে বলেন আমি ও দুই এক দিনের ভিতর বদলী হয়ে যাচ্ছি। তবে লোকবল দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে চিঠি লিখে যাচ্ছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিহা ফেরদৌসির সাথে যোগাযো করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের সাথে বহু বার যোগাযোগ করা হলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। তিনি বলেন এত পদ শূন্য তা জানা ছিলনা। তিনি আরও বলেন শুনেছি নাসিরনগরের যে আরএমও ছিল ডাক্তার জিয়াউল ইসলাম সেলিম তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে নাসিরনগরে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।এ বিষয়ে সদ্য যোগদান করা ডাঃ মোঃ সফিকুল ইসলাম ডাক্তার সংকটের কথা স্বীকার করে বলেছেন ডাক্তার ও নার্স সংকটের কারনে আমাকে হিমসিম খেতে হচ্ছে ।

জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ জানান, এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে । আশা করছি খুব শীঘ্রই নতুন ডাক্তার পাব।






Shares