Main Menu

নাসিরনগরে কলেজের নামে মামলা, আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, এলাকায় চরম উত্তেজনা।

+100%-

মোঃ আব্দুল হান্নান,প্রতিনিধিঃব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল নাসির নগর উপজেলা। আয়তনে ছোট হলেও জনসংখ্যার তুলনায় বিশাল। প্রায় চার লাখের ও অধিক জনসংখ্যার বসবাস নাসিরনগর উপজেলায়। জনসংখ্যার তুলনায় এখানে স্কুল কলেজের সংখ্যা অত্যান্ত নগন্য।উচ্চ শিক্ষার জন্য এখানে কলেজের সংখ্যা অত্যন্ত নগন্য। এলাকাবাসী ও শিক্ষাথীদের অনুরোধে হবিগঞ্জের বিশিষ্ট  ব্যবসায়ী  সাদা মনের মানুষ,বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও দানবীর শচীন্দ্র লাল সরকার একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করেন। বুড়িশ্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ সিংহ গ্রামের প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে রাস্তার পাশে নতুন বিজয় লহ্মী স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এলাকার  দুই ব্যক্তি স্কুল থেকে কলেজের দূরত্ব হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীদের সমস্যা হবে – কারন দেখিয়ে আদালতে মামলার করেন। বিজ্ঞ আদালত নির্মাণ কাজে  অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করলে,এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, ১৯৯৯সালে উক্ত দানবীর শচীন্দ্র লাল সরকার সিংহ গ্রামে ১ একর ১৬শতাংশ জমির উপর তিন তলা বিশিষ্ট বিজয়লক্ষ্মী নামে একটি নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে উক্ত স্কুলে প্রায় সাত শতাধিক ছাত্র ছাত্রী অধ্যয়নরত। সতের জন শিক্ষক কর্মচারী এখানে চাকরি  করছেন। ২০১০ সালের ৬ মে স্কুলটি এম.পিও ভুক্ত হয় । অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এই স্কুলের সুনাম চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
স্কুলের কৃতিত্বে ও এলাকাবাসীর  অনুরোধে কলেজ প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করেন দানবীর শচীন্দ্র লাল সরকার। সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গ্রামের পশ্চিম দিকে রাস্তার পাশে সকলের সুয়োগ সুবিধার কথা চিন্তা করে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে ৯৪ শতাংশ জমি খরিদ করেন। তিনি। পরবর্তীতে ১৪লক্ষ টাকা খরচ করে উন্নয়ন করেন।  গত ১৭ এপ্রিল ২০১৩ইং  তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িযা ১ আসনের এম,পি এডঃ ছায়েদুল হক কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ইতিমধ্যে একতলা বিল্ডিংয়ের তিন রুমের  কাজ সমাপ্তির পথে । ৬ই জুন ২০১৩ইং তারিখে কুমিল্লা বোর্ডের  কলেজ পরিদর্শক কলেজটি দেখার জন্য আসেন। নির্মাণ কাজে ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ লক্ষের ও অধিক টাকা ব্যয় হয়েছে বলে কলেজ কমিটি সূত্রে জানা যায়। ১১জুন ২০১৩ ইং তারিখে দুই ব্যাক্তি আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত নির্মাণ কাজে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়। এলকাবাসীর মাঝে  চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা  বিরাজ করছে। কলেজের নির্মান কাজটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নষ্ট হয়ে হবে বলে এলাকাবাসী ধারনা করছে ।






Shares