Main Menu

আখাউড়ায় জনমনে আতঙ্ক, আখাউড়া-লাকসাম রেলপথে ডাবল লাইন নির্মাণে অপ্রয়োজনীয় অধিগ্রহনের অভিযোগ

+100%-

প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-লাকসাম রেলপথে ডাবল লাইন নির্মাণে আখাউড়ায় প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহন করার প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ঐতিহ্যবাহী বাজার, নয়শ বছরের পুরোনো মন্দির ও, বৃটিশ আমলের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। এর পাশাপাশি পরে আখাউড়া-আগরতলা লাইনের জন্য আরো জমি অধিগ্রহন করা হলে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
এ অবস্থায় আখাউড়ার রেল পার্শ্ববর্তী মানুষ ডাবল লাইন ও ইন্ডিয়ান লাইন আতঙ্কে আছেন। গত কয়েকদিন ধরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ি অধিগ্রহনের জন্য নির্ধারিত জায়গায় লাল দাগ দিয়ে যাচ্ছেন। অপ্রয়োজনীয়’ জায়গা অধিগ্রহনের ফলে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন নির্মাণের জন্য সম্প্রতি ভূমি অধিগ্রহন কাজ শুরু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আখাউড়া অংশে একেক দিকে (পূর্ব ও পশ্চিম) সর্বনিম্ন ৩৫ ফুট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ১৫০ ফুট পর্যন্ত জায়গা অধিগ্রহনের জন্য জায়গায় জায়গায় লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। এলাকাবাসী বলছেন, বর্তমান রেললাইনের পাশেই রেলওয়ের যে ৩৫ ফুট করে জায়গা আছে, এসব জায়গা দখলমুক্ত করে আর কিছু জমি অধিগ্রহন করলেই নতুন রেললাইন নির্মাণ সম্ভব। আখাউড়া বড় বাজার অংশে যে দু’টি লাইন এখন অকেজো হয়ে আছে এগুলো সচল করে এর বরবার নতুন লাইন নির্মাণ করলেই লোকজনের অনেক কম ক্ষতির পাশাপাশি সরকারকে জমি অধিগ্রহনের বিপরীতে কম টাকা গুনতে হবে। বর্তমানে দেওয়া দাগ অনুসারে লাইন নির্মাণ হলে আখাউড়ার ঐতিহ্যবাহী বড় বাজার, মোগড়া বাজার, মন্দির, খাদ্য গুদাম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এছাড়া আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন নির্মাণ হলে এলাকার মানুষকে আরো জায়গা দিতে হবে।      
এ ব্যাপারে আখাউড়া বড় বাজারের বাসিন্দা, লেখক আলী মাহমেদ বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বলেছে প্রয়োজনের তুলনায়  তারাা বেশি জায়গা নিবেন না। জনস্বার্থে আমি জায়গা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু আমার বাড়ির সামনে থাকা দু’টি রেললাইন সচল করলে রেলওয়েকে অনেক কম জায়গা অধিগ্রহন করলেও হতো। কিন্তু যেভাবে তারা দাগ দিয়েছে তাতে আমার শত বছরের ভবনসহ এখানকার খাদ্য গুদাম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
মোগড়া দশভূজা কালী মন্দিরের সভাপতি রতন কুমার পাল বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি প্রায় নয়শ’ বছর আগের। বৃটিশ আমলে রেললাইন নির্মাণের সময় মন্দিরটি রক্ষার স্বার্থে বাঁক করে নেওয়া হয়। এখন পুরো মন্দিরটিই অধিগ্রহনের মধ্যে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন প্রকল্পের অন্যতম পরামর্শক মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহন করা হলে বাজার দর অনুযায়ি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। খাদ্যগুদাম ভাঙ্গা পড়লে সেটিও করে দেওয়া হবে। তবে অহেতুক কোনো জমি অধিগ্রহন করা হবে না।






Shares