Main Menu

২৪ ঘন্টা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চালু ::৩০ কিলোমিটার যানজট,যাত্রী ও চালকদের দূর্ভোগ

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল::কাজের ধীরগতি ও কারিগড়ি সমস্যার কারনে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি সরাইলের শাহবাজপুরের তিতাস নদীর উপর সেতু সংস্কারের কাজ। সওজের ঘোষনা ছিল ১৮ ঘন্টা বা আরো কম। কিন্তু দীর্ঘ ২৪ ঘন্টা পর গতকাল শনিবার সকাল ৬টায় চালু হয়েছে ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক। চালু হওয়ার পরই সড়কের উভয় দিকে ৩০ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি ব্রীজটি। মাঝেমধ্যে আটকে যাচ্ছে গাড়ি। সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হন চালক ও যাত্রীরা। সড়কের কিছু জায়গায় গাড়ির শ্রমিকরা আগে পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

জেলা সওজ সূত্রে জানা যায়, ২০৩ মিটার দৈর্ঘ্য এ সেতুটির মাঝখানে ২১০ ফুট জায়গা ধেঁবে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পূর্ব ঘোষনা মোতাবেক গত শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকেই শুরু হয় ওই জায়গায় বেইলী ব্রীজ নির্মাণের কাজ। উভয় দিকে জাতীয় এ মহাসড়কে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৮ ঘন্টা পর অথাৎ রাত ১২টার পর সড়কটি চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ভুক্তভোগী যাত্রী, পথচারি ও পুলিশ জানায়, বেইলী ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে ৭ কিলোমিটার এলাকায় আটকে যায় পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী কিছু গাড়ি। রাত ১২টার পর সড়ক চালুর প্রহর গুনছিল তারা। সেই অপেক্ষা আরো দীর্ঘ হয়।

এ দিকে ১২টার পর সড়ক চালুর হিসেব কষে ঢাকা ও সিলেট থেকে অগণিত গাড়ি ছেড়ে আসে। শুক্রবার রাতেই বেড়ে যায় যানজটের তীব্রতা। রাত ৪টার পর সড়ক ছাড়ার পরই একটি ট্রাক ব্রীজের গোড়ায় ধেবে যায়। ফের বন্ধ হয়ে যায় সড়ক। আরো ২ ঘন্টা কাজ করার পর সকাল ৬টায় আবার চালু হয় সড়ক। তখন সরাইলের বেড়তলা ও বিজয়নগর উপজেলার শ্যামলী ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় মহাসড়কে। সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হন গাড়ি চালক ও যাত্রীরা। অবর্ণনীয় কষ্ট করে পাঁয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায় যাত্রীদের।

সকাল ১১টায় সওজের ১৫ জন শ্রমিককে ব্রীজের গোড়ায় কোদাল হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। জনৈক শ্রমিক সর্দার জানান, গাড়ি আটকে গেলে আমরা ইটা ও মাটি দিয়ে সহায়তা করছি। সড়কের বেশ কিছু জায়গায় আগে যাওয়াকে কেন্দ্র করে পরিবহন শ্রমিকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় হাইওয়ে পুলিশের সাথে থানা ও অতিরিক্ত পুলিশের টহল দেখা যায়। শনিবার বেলা ২টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে যানজট চলাকালে কিছু হালকা যানবাহনকে চান্দুরা দিয়ে বিজয়নগর আখাউড়া হয়ে সরাইলের বিশ্বরোড দিয়ে ঢাকায় আর কুট্রাপাড়া দিয়ে প্রবেশ করে নাসিরনগর-লাখাই হয়ে সিলেট যেতে দেখা গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য যানজটের কথা স্বীকার করে বলেন, নতুন বেইলী ব্রীজে এক সাথে দুইদিকে গাড়ি চললে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। তাই একদিক দিয়ে ৭-৮টি করে গাড়ি ছাড়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গত এক সপ্তাহ আগে বলা  হয়েছিল, ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের ঢাকা (কাচপুর)-ভৈরব-জগদীশপুর-শায়েস্তাগঞ্জ-সিলেট-তামাবিল-জাফলং সড়কের (ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক, এন-০২) ৯৩ কিলোমিটার সড়কের তিতাস নদীর ওপর অবস্থিত শাহবাজপুর সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ স্প্যানে স্টিল সেতু (বেইলি সেতু) স্থাপন করা হবে। এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে এ কাজ শুরু হয়। শেষ হয়েছে গতকাল সকাল ৬টায়।






Shares