Main Menu

ইউপি নির্বাচন :: ভোট না দেয়ায় সরাইলে জেলে পরিবারকে হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি

+100%-

jeleসরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ ভোট না দেয়ার অভিযোগে সরাইলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জেলে পরিবারের সদস্যদের হাত পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ইউপি সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী মোঃ লতিফুর রহমানের লোকজন।ক্ষোভে গভীর রাতে দরিদ্র জেলে রাজকুমার দাসের জাল পুঁড়ে দিয়েছে তারা। রাতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জেলেদের বসত ঘরের ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৫ জন মহিলা। ভয়ে সেখানকার জেলেরা এখন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।

উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের মনিরবাগ এলাকায় গত রবিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সকালে সরজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে জানা যায়, মনিরবাগ এলাকাটি ৪ নং ওয়ার্ড। গত ২৩ এপ্রিলের ইউপি নির্বাচনে এ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্ধিতা করেছে। জয়লাভ করেছে ফুল মিয়া। তৃতীয় হয়েছেন বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ লতিফুর রহমান।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ১৭-১৮টি পরিবার ওই গ্রামের পাশে বসবাস করে আসছে। তারা সকলেই পেশায় জেলে। মাছ ধরে বিক্রি করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে। এখানকার অধিকাংশ পরিবারই অসহায় ও দরিদ্র। তাদের পাশে লতিফুরের গোত্রের লোকজন বসবাস করে। তারা নির্বাচনের দিন থেকেই জেলে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহের চোখে দেখছে। ভোট কেন্দ্রেই প্রকাশ্যে তাদেরকে  (জেলেদের) মারধর করার হুমকি ধমকি দিয়েছে।

সর্বশেষ গত রবিবার গভীর রাতে রাজকুমার দাস নামের জেলের জাল পুঁড়ে দিয়েছে লতিফের লোকজন। রাজকুমার জানায়, ভোটের দিন বিকেল বেলায় হাসেন, উসমান, নাজিম, রিপন ও বাবুল নামের যুবক বলেছে- “ গাবরারা বাড়ি তাইক্কা কেমনে বাইর অছ দেহুম। তরার জাল পুইরা দিমু। কুবাইয়া বাড়িঘর বাইঙ্গা দিমু। তরা লাঙ্গলে আর তালাত ভোট দিসছ। মজা বুজামু।”

রাজকুমারের স্ত্রী বীনা রানী দাস কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমডা স্বামী-স্ত্রী এক জাগায় কাম করি। ৫০ হাজার টেহা লোন আইন্না জাল কিনছিলাম। জালডাই আমডার একমাত্র ভরসা। সব শেষ কইরা দিছে। অহন কি করুম। আমডারে বাচাইন।

গ্রামের বাসিন্ধা আনন্দ দাস ও অধির দাস ক্ষোভের সাথে বলেন, ফল ঘোষনার সাথেই তারা আমাদের লোকজনের উপর ক্ষুদ্ধ হয়। মারধর করে হাত পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়। আমরা গত ২দিন ধরে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।

মোঃ লতিফুর রহমান বলেন, এ সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। জাল কে পুঁড়িয়ে দিয়েছে কেউ তো দেখেনি। তাদেরকে কেউ হুমকি দেয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবা বলেন, এ বিষয়ে খোজ-খবর নিয়ে দেখছি।






Shares