তান্ডবের জন্য জামাত-বিএনপি-জঙ্গীবাদীরা দায়ী॥ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় আমরা বিব্রত–জেলা আওয়ামীলীগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মঙ্গলবার দিনভর আওয়ামীলীগ কার্যালয়,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়,সদর হাসপাতাল,রেলস্টেশন,আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন সহ বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক তান্ডবের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিবাদীরাই জড়িত বলে দাবি করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙ্গালী সংস্কৃতির বিরোধী পক্ষ পরিকল্পিতভাবে,তালিকা করে এ তান্ডব চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয় আওয়ামলিীগের পক্ষে।এসময় তিনি এসব ঘটনার উস্কানী দাতা হিসাবে শহরের ভাদুঘর জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জেলা ইসলামি আইন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি মাও.মুনিরুজ্জামান সিরাজীকে দায়ী করেন।
গত বুধবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার এ দাবি করেন।
জননেতা আল মামুন সরকার আরো বলেন, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আমাদের পরিষ্কার করে বলেছেন হামলা-ভাংচুর-অগ্নি সংযোগ-লুটতরাজের সঙ্গে মাদরাসা ছাত্ররা জড়িত নয়। তাদের মধ্যে একটি অপশক্তি প্রবেশ করেছিল।আগের দিন রাতেই মাও.মুনিরুজ্জামান সিরাজি ভাদুঘরে এক ওয়াজ মাহফিলের কার্যক্রম রাতে বন্ধ করে দিয়ে ঘোষনা করেন,আজ আর মাহফিল নয়,আপনারা আগামী কালের মসজিদ রক্ষার আন্দোলন করার জন্য তৈরী হউন। তার এ উস্কানির পর বিভিন্ন স্থানে উস্কানীমূলক মাইকিং করে পরিস্থিতি খারাপ করা হয়েছে। এছাড়া সারা শহরে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সকল ব্যানার-ফেস্টুন ভেঙ্গে ফেলা হলেও বিএনপির সব ব্যানার-ফেস্টুন অক্ষত আছে।
তিনি মঙ্গলবারের দিনভর তান্ডবের সময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের নিরব ভূমিকায় বিব্রত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,এ তান্ডবে অন্তত ৭০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এসময় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কেউ এগিয়ে আসেনি।কেনো প্রশাসন বা পুলিশ এমন নিস্ক্রিয় ছিলো তা খতিয়ে দেখতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান। এ সময় তিনি সরকারের কাছে নিরপেক্ষ ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ারও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন হেলাল উদ্দিন,মুজিবুর রহমান বাবুল,জাতীয় পরিষদ সদস্য আবুল কালাম ভূঞা,যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু,গোলামমহিউদ্দিন খোকন,সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম সরকার,প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম,শিল্প বানিজ্য সম্পাদক শেখ মো.মহসিন,সমাজ কল্যান সম্পাদক শেখ মো.আনার,কার্যকরী সদস্য জহিরুল ইসলাম ভূঞা,জাহাঙ্গীর আলম,সৈয়দ মো.আসলাম,জেলা যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড.শাহানুর ইসাম,কৃষকলীগ সভাপতি সাদেকুর রহমান শরীফ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড.লোকমান হোসেন সহ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।