Main Menu

আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে নির্বাচন

+100%-

1458695908

 শঙ্কায় প্রার্থী ও ভোটাররা, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে

নিজস্ব প্রতিবেদক।। আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মোট ভোটার সংখ্যা হল ২,১০,৫৭৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১,১৪,২৮০ জন এবং মহিলা ভোটার হল ৯৬,২৯৮ জন।

এ নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে কঠোর নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে  বিজিবি, র‌্যাব, আমর্ড পুলিশ, আমর্ড আনসার বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। এদের মধ্যে আনসার সদস্য রয়েছেন ৩,২১১জন, পুলিশ সদস্য ১,১০২ জন, র্যাব সদস্য ৬০ জন এবং ২৪০ জন বিজিবি সদস্য। স্ট্রাইকিং ফোস হিসাবে কাজ করবে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট ও বিজিবি। এদেরকে মনিটরিং ও দেখাশোনার জন্যে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সহ ৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম ইতোমধ্যে তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।

নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেজন্যে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই প্রথম রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫৪ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নিচ্ছেন। তন্মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে ১১ জন এবং বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ১১ জন, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ৫ জন এবং ইসলামী ঐক্যজোটের ১ জন এবং জাতীয় পার্টির ৩জন প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন। ১০ টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন এবং সংরক্ষিত সাধারণ সদস্য পদে ৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন।

ইতোমধ্যে এখানে নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার পর মনোনীত দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মাঝে বেশ ক’বার হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কার্যালয় ভাংচুর, প্রতীক অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত হয়েছে। তবে কয়েকটি ইউনিয়নে দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর পাশাপাশি বিদ্রোহী প্রার্থী শক্তিধর থাকার কারণে গোলযোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়টিও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। ভোটকেন্দ্রে কোনো প্রকার গোলযোগ বা বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন কেন্দ্রে অবস্থান করছে। ভোটগ্রহণের পূর্বে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ও আশপাশ এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে জল্পনা-কল্পনা। আদৌ এ উপজেলায় সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে কি-না তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।সামগ্রিক অবস্হা আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকলেও গত বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাপ খান মানিক এর মৃত্যু এলাকায় বিরাট প্রভাব ফেলেছে। চল্লিশ বৎসর আওয়ামী রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলেন। পুলিশের ধাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথীরা এতে জনমতের সহায়তা পেতে পারেন বলে অনেকেই মনে করছেন। এদিকে বিএনপি থেকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার মত প্রাথীর সংকট রয়েছে। এজন্য বিএনপি নেতারা প্রশাসনের এক চোখা আচরণ, পুলিশী হয়রানির অভিযোগ করেছেন।






Shares