Main Menu

জলপথেই সুলভ হবে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য, মত বিশেষজ্ঞদের

+100%-

ab11আনন্দবাজার:: ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্দেশীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম খরচের রুট হবে জলপথ। আর এ পথে পণ্য পরিবহণে খরচ কমে আসবে সড়কপথের ব্যয়ের ১০ ভাগের এক ভাগে। আর রেলপথের চেয়ে পাঁচ ভাগের এক ভাগে। বুধবার ঢাকায় ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত এক সেমিনারে এই তথ্য জানান আন্তর্দেশীয় যোগাযোগ বিশ্লেষকরা। জলপথে আন্তঃবাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। অন্য দিকে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা মনে করেন, জলপথকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের উপযোগী করতে এ খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ দরকার হবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌপথে বাণিজ্য সম্ভাবনা নিয়ে বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে সেমিনারের আয়োজন করে ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রতিবেশী দেশ দু’টির মধ্যে নৌপথে ব্যাপক বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে তা ব্যবহার করতে পারলে পরিবহণ খরচ কমার পাশাপাশি সময়ও কমবে এবং পরিবেশ দূষণও অনেকটা হ্রাস পাবে। কিন্তু এই সব নদীর অধিকাংশের উৎপত্তি হয়েছে ভারতে। নদীতে বাঁধ দিয়ে জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা বা সুষম জল বণ্টনের মতো বিষয়গুলি এখনও অমীমাংসিত। এই প্রেক্ষাপটে নৌপথে পণ্য পরিবহণে দুই দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, নৌপথে পণ্য পরিবহণে যদি বাংলাদেশ-ভারত উভয়েই লাভবান হয় তা হলে তাকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, নৌপথের আটটি পয়েন্টে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য পরিবহণ হচ্ছে। তবে এ ব্যবস্থা আরও সম্প্রসারিত করতে হলে এই খাতে ব্যাপক বেসরকারি বিনিয়োগের দরকার।






Shares