Main Menu

রেল প্রকল্প আঠারোতে শেষ করতে তৎপর দিল্লী ও ঢাকা

আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্পের কাজ শুরু হবে চলতি বছরেই

+100%-

agar-akhডেস্ক ২৪:: ১৯ অক্টোবর৷৷ আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্প নিয়ে এক প্রস্থ বৈঠক সেরে নিলেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা৷ বুধবার আগরতলায় রাজ্য অতিথিশালায় ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এই প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ মূলত, প্রকল্পটির বর্তমান পরিস্থিতি, কাজ সমাপ্ত হওয়ার সময়সীমা এছাড়াও পরিকাঠামোগত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷

বৈঠক শেষে দু’দেশের প্রতিনিধিদের তরফে বাংলাদেশ রেলমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শশী সিং এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব অজিত গুপ্তা সাংবাদিকদের এই বৈঠক সম্পর্কে এবং প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত জানান৷ বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব অজিত গুপ্তা জানিয়েছেন, আগরতলা- আখাউড়া রেল প্রকল্পের কাজ দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ তাতে ২০১৮ নাগাদ কাজ শেষ হবে বলে উভয় দেশ আশাবাদী বলে তিনি জানিয়েছেন৷ এই রেল প্রকল্পকে ঘিরে ইতিমধ্যে ভারতের অংশে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে৷ ডিসেম্বর নাগাদ জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ এদিকে, বাংলাদেশেও জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে বলে সে দেশের রেলমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শশী সিং জানিয়েছেন৷ তিনি এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য তুলে ধরে বলেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে৷ আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ স্থাপন হলে বাংলাদেশের পণ্য খুব সহজেই ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তরপূর্বাঞ্চলে রপ্তানি সম্ভব হবে৷ তেমনি ভারতের পণ্যও বাংলাদেশে সহজে আমদানি সম্ভব হবে৷ তিনি জানান, আগামী মে থেকে জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অংশে জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন করে রেলওয়ের হাতে সেই জমি তুলে দেওয়া হবে৷ বাংলাদেশও চাইছে ২০১৮ সালের মধ্যেই আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ স্থাপন হয়ে যাক৷

এদিন বিদেশমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব অজিত গুপ্তা এবং বাংলাদেশ রেল মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শশী সিং রেলপ্রকল্পটির বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন৷ এই রেল প্রকল্পে মোট ৯৭২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা খরচ হবে৷ তাতে, ভারতের অংশের জন্য ব্যয় হবে ৫৮০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশের অংশের জন্য ব্যয় হবে ৩৯২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা৷ এদিকে, রেল প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ভারতের অংশে ৬৫ একর এবং বাংলাদেশের অংশে ৫৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে৷ তাতে, ভারতের অংশের জমি অধিগ্রহণের জন্য ৯৮ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশের অংশের জমি অধিগ্রহণের জন্য ৯৩ কোটি বাংলাদেশী টাকা ব্যয় হবে৷ এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে ইরকন৷ এই রেল প্রকল্পের সমস্ত অর্থ ভারত সরকার বহন করছে৷ বাংলাদেশের অংশের জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রক এবং ভারতের অংশের জন্য ডোনারমন্ত্রক অর্থ মঞ্জুর করেছে৷

এদিকে, জমি অধিগ্রহণ শেষে রেল লাইন বসানো এবং আনুষঙ্গিক কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা হবে৷ সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমিটি যাচাই করবে৷ এরপরই রেল সংযোগের কাজ শুরু হয়ে যাবে৷
এদিন উভয় দেশের প্রতিনিধিরা এই প্রকল্পটিকে ঘিরে দারুণ উৎসাহ ব্যক্ত করেছেন৷ মূলত, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী এই রেল প্রকল্পের মাধ্যমে সম্ভব হবে বলে উভয় দেশ যথেষ্ট আশাবাদী৷

এদিকে, বৈঠক শেষে ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে’র সাথে সৌজন্যে সাক্ষাতে মিলিত হন৷ জানা গেছে, বুধবারই উভয় দেশের প্রতিনিধিরা ফিরে গেছেন৷






Shares