ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ মানিক সাহার, অনুষ্ঠানে শেষে হাজির বিজেপির বিদ্রোহীরা



ডেস্ক ২৪:: ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মানকি সাহা। বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফার পরদিনই নতুন মুখ্যমন্ত্রী পেয়ে গেল ত্রিপুরা। রবিবার নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ গ্রহণের সময় হাজির ছিলেন না উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন ও বিদ্রোহী মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। তাঁরা অনুষ্ঠানে শেষে হাজির হন। ফলে শপথ অনুষ্ঠানে কাঁটা রয়েই গেল। বিজেপির দাবি, সমস্যা মিটে গিয়েছে। কোনও বিদ্রোহ নেই।
শনিবার হঠাৎ করেই ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ইস্তফা দেন। তিনি নিজেই রাজ্যপালকে লেখা এক লাইনের চিঠিতে জানিয়ে দেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিচ্ছেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নেকর উত্তরে তিনি জানান, ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনে তাঁকে কাজে লাগাতে চাইছে দল। তাই এই সিদ্ধান্ত। তাঁর মতে সংগঠন আগে, তারপরে ক্ষমতা। সংগঠন না থাকলে ক্ষমতা দখল সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এটা কৌশলী সিদ্ধান্ত বিজেপির। সেই কারণেই মেয়াদ ফুরনোর ১০ মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হয়েছে ত্রিপুরায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মানিক সাহাকে। তাঁকেই পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে বাছা। হয়। যদিও তিনি বিধায়ক নন। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ এবং রাজ্য সভাপতি ছিলেন। মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নেওয়ার পর শুরু হয় বিক্ষোভ। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, বিজেপির পরিষদীয় দলকে অন্ধকারে রেখেই বেছে নেওয়া হয় মানিক সাহাকে। এর ফলে বিদ্রোহ দানা বাঁধে। বিজেপিতে বিদ্রোহের জেরে স্পষ্ট হয় বিভাজন। বিজেপিতে ভাঙন জল্পনা উসকে দেন বিদ্রোহী মন্ত্রী-বিধায়করাই। এদিন শপথ গ্রহণের সময়ও তাঁরা গরহাজির ছিলেন।