আখাউড়া দিয়ে টানা আড়াই মাস পর শুরু হওয়া মাছ রপ্তানি ফের বন্ধ



টানা আড়াই মাস পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় চালু হওয়া মাছ রফতানি কার্যক্রম আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। মাত্র তিনদিন পর কাগজপত্র সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, মাছে ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়ার অভিযোগ ও রফতানি কোড নিয়ে জটিলতা নিরসন শেষে আড়াই মাস পর গত ২২ মে থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ ভারতের ত্রিপুরায় মাছ রফতানি শুরু হয়। ওইদিন বিভিন্ন প্রজাতির তিন হাজার দুইশো কেজি মাছ ত্রিপুরায় রফতানি করা হয়। তবে রফতানিকৃত এসব মাছ ভারতে যাওয়ার পর কাগজপত্র সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শেষ করতে দেরি হওয়ায় মাছের ক্ষতি হয়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার থেকে থেকে মাছ রফতানি বন্ধ করে দেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ইমাম ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আব্বাস উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, সকাল ১০টা হইতে ১১টার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মাছ রফতানি করা গেলেও সেগুলো ভারতে গিয়ে আটকে থাকে। প্রক্রিয়াজাত করে গত তিনদিন যাবত বেলা ৩টা-৪টার দিকে মাছ সেখানকার বন্দর থেকে ছাড়া হয়। এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে গরমে মাছগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।