নবীনগরে নিকাহ্ ও তালাক রেজিষ্ট্রার নিয়োগ প্যানেলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি
নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইউনিয়ন ভিত্তিক নিকাহ্ ও তালাক রেজিষ্ট্রার নিয়োগ প্যানেলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চেয়ারম্যান ও সংশ্লিট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে স্ব-ইউনিয়নের বাসিন্দা নয় এবং চাকুরীজীবি উক্ত নিয়োগ প্যানেলে অর্ন্তভুক্ত হয়েছেন।
উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের অধিক্ষেত্রে নিকাহ্ ও তালাক নিয়োগ প্যানেলো এ অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ওই ইউপির বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.পেশকার মিয়া(অবঃসুবেদার)। রবিবার (২১/৮) আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে তিনি লিখিত এ অভিযোগ করেন। যার অনুলিপি স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, সাবরেজিষ্টার, ইউপি চেযারম্যান ও মিডিয়াতে দেওয়া হয়।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উক্ত ইউনিয়নের নিকাহ্ ও তালাক রেজিষ্টার পদের জন্য তিনজন প্রার্থী আবেদন করেছেন যাদের মধ্যে প্যানেলে প্রথমেই রযেছেন মোঃ মকবুল হোসন পিতা আব্দুল ওয়াহেদ মোল্লাহ্ যিনি বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক লিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা শাখায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র শিবির এর ওই ইউনিয়ন শাখার একজন সক্রিয় নেতা। দ্বিতীয়তে রযেছেন মোঃ মোখলেছুর রহমান পিতা আবদুল সালাম যিনি উক্ত ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নন।
এ ব্যাপারে ওই ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খলিলুর রহমান বলেন, মোখলেছ পিতা আবদুস সালাম নামে কোন ব্যাক্তি এ ওয়ার্ডে আমার জানামতে নেই । এ ব্যাপারে উক্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নিয়মবহিভূত ভাবে যুদ্ধাপরাধী দল হিসাবে চিহিৃত জামায়েতি ইসলামীর অংগ ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের সক্রিয় কর্মী ও তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী এবং অত্র ইউনিয়নের বাসিন্দা নন এমন ব্যাক্তিদের অন্তভূক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উক্ত ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়া বলেন, মোখলেছুর রহমানকে আমি চিনি না, আমি কোন সাটিফিকেট দেই নাই,আমার পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান সাটিফাই করেছেন,মকবুল ব্যাংকে চাকুরী করে কিনা বা কোন দলের সাথে জড়িত কিনা জানিনা। এ ব্যাপারে নিয়োগ প্যানেল বোর্ডের সদস্য সচিব সাবরেজিষ্ট্রার প্রথিক কুমার সাহা এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে লাইন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম অনুলিপি প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন,বিষয়টি আইন মন্ত্রনালয় তদন্ত করে দেখবেন ।