বাঞ্ছারামপুরে ১০ টাকা কেজির চাল চাল না পাওয়ায় ইউএনওর কাছে অভিযোগ



ডেস্ক ২৪::বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আট ব্যক্তি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে গতকাল রোববার তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুরে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের ওই আট ব্যক্তির নাম এ কর্মসূচির চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত তাঁরা কোনো চাল পাননি। চালের জন্য স্থানীয় ডিলার মো. দেলোয়ার হোসেনের কাছে একাধিকবার গেলেও তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারীদের একজন আবদুল মোতালিব বলেন, ১০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে ডিলার দেলোয়ারের কাছে কয়েকবার গেলেও তিনি চাল পাননি। উল্টো তিনি খারাপ ব্যবহার করে তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। কেবল আটজন নয়, আরও অনেকেই চাল পাননি। কিন্তু ভয়ে তাঁরা দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেননি।
ডিলার দেলোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগকারী আটজনের মধ্যে দুজনের নাম চূড়ান্ত তালিকায় বাতিল হয়েছে। আরেকজন বয়স্ক ভাতা পান। তাঁর নাম তালিকায় নেই। অপর পাঁচজন নিতে আসেননি বলে তাঁদের চাল পড়ে আছে।
ইউএনওর কার্যালয় সূত্র জানায়, আটজন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ওই অভিযোগ পাওয়ার পর গতকালই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাঞ্ছারামপুরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নবীনগর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আনোয়ারুল হককে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
আনোয়ারুল হক বলেন, আজ সোমবার থেকে তিনি তদন্ত শুরু করবেন। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন।ইউএনও মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।