Main Menu

বাঞ্ছারামপুর :: আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে ৪৪ শতক খাস জায়গা দখল, বালু ভরাট

+100%-

dokhol-jomi-aboidho1ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের এক নেতার নেতৃত্বে ৪৪ শতক খাস জায়গা দখল করে বালু ভরাট করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশে বালু ভরাট গত বুধবার বন্ধ করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খাসজমি দখল ও বালু ভরাটের ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী ১৩ মার্চ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এতে বলা হয়, ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফিরোজ মিয়ার নেতৃত্বে বালু ভরাট করা হয়। তাঁরা বাঞ্ছারামপুর-ফেরিঘাট সড়কের পাশে ওই খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করেন। এক সপ্তাহ ধরে সেখানে বালু ফেলে ভরাটের কাজ চলে। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন এতে বাধা দেয়। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পরে প্রতিকার চেয়ে ওই অভিযোগ দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দখলদারের কয়েকজন দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন।
গত মঙ্গলবার আইয়ুবপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আইয়ুবপুর সেতুসংলগ্ন সড়কের পাশে ৭-৮ ফুট গভীর খাস জায়গা ভরাট চলছিল। ওই জায়গার উত্তর দিকে বাঞ্ছারামপুর-ফেরিঘাট সড়ক, পূর্ব দিকে কান্দাপাড়ার কাঁচা সড়ক, দক্ষিণ দিকে কৃষিজমি ও পশ্চিম দিকে ‘দখলদার’ নজরুল ইসলামের বাড়ি। মেঘনা নদী থেকে খননযন্ত্রের মাধ্যমে বালু তুলে ওই জায়গায় বালু ফেলা হয়। এতে আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ মিয়া ছাড়াও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত। ভরাটের পর ওই জায়গায় দোকান নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন দখলদারেরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বালু ফেলে ভরাটের পর সেখানে দোকান করতে তাঁকে একটি প্লট দেওয়া হবে। এ জন্য তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে।
রুবেল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসী দিয়া সরকারি জায়গা দখল কইরা ভরাট করতাছে। আমরা বাধা দিছি। দখলদাররা আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিছে।’
হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘নজরুলসহ কয়েকজনের দোকান রাস্তার লগে থাকবে। আর পেছনে একটা স্কুল করার চিন্তা করতাছি। এই কারণে আমরা এলাকার কিছু মানুষে একত্র হইয়া সরকারি জায়গায় বালু ভরাট করতাছি। অনুমতি লই নাই কারও। নায়েব আইসা বালু ভরাট বন্ধ রাখতে কইয়া গেছে।’
উজানচর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো. এমরান মিয়া বলেন, ‘আইয়ুবপুর মৌজায় ৫১ শতক খাস জায়গার মধ্যে প্রায় ৪৪ শতক জায়গা ভরাট করা হচ্ছিল। এসি ল্যান্ড স্যারের নির্দেশে আমি আইয়ুবপুর গিয়ে বালু ভরাট বন্ধ করে দিয়েছি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুন সরদার বলেন, বালু ভরাট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






Shares