সাভার রানা প্লাজায় কর্মরত বাঞ্ছারামপুরের মিন্টুর মৃত্যুতে ভারী আকাশ-বাতাস
সালমা আহমেদ : মিন্টু হোসেন (৩৪)। পিতা লিল মিয়া। ছেলেবেলা থেকেই স্কুল/কলেজে সবসময় মেধাবী ছাত্র হিসেবে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছিলেন। ছাত্রজীবন শেষ করে যোগদান করেছিলেন আর্ন্তজার্তিক খাদ্যপণ্য প্রতিষ্ঠান নেসলে বাংলাদেশ-এ। সাভার কার্য্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা ছিলো বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আসাদনগর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে মিন্টু। ৫ বছর আগে বিয়ে করেন।এক ছেলে,এক মেয়ে সন্তানের জনক।শিক্ষীকা মা ,স্ত্রী,সন্তানদের নিয়ে একত্রে বসবাস করতো সাভারের এক ভাড়া বাড়ীতে। সাভার ট্রেজেডির শুরুতেই ৪ তালায় অবস্থিত নেসলে কোং কার্য্যকম বন্ধ করার জন্য সবকিছু ঠিকমতো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে কি-না তা দেখতে দূর্ঘটনার সময় দেখভাল করার জন্যই গিয়েছিলো সহকর্মীদের সহায়তা দেয়ার জন্য।পৌনে নয়টায় ভবন ধসে প্রথমদিকে বিল্ডিং ছাদ ভেঙ্গে মিন্টুর উপর পড়লে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। উদ্ধারকর্মীরা বৃহস্প্রতিবার তাকে উদ্ধার করে মিন্টুর স্বজনদের কাছে লাশ পৌছে দিলে লাশবাহী গাড়ীতে করে নিয়ে আসা হয় সোজা বাঞ্ছারামপুরের আসাদনগর গ্রামে। ইতোমধ্যে সকালে তাকে দাফন করা হয়।দাফনের আগে পুরো গ্রামবাসী মেধাবী,সজ্জ্বন ও সর্বদা হাসিখুশী মিন্টুর জন্য আহাজারী করে কাদতে থাকেন। মিন্টুর সন্তান,স্ত্রী,মা শোকে হতবিহবল।মুখে শব্দ নেই।স্ত্রী -মা কেবলই চিৎকার করে বলছেন, মিন্টু তো কোন দোষ করে নাই।তয় তাকে কেনো মরতে হইলো?মিন্টুর অকাল মৃর্ত্যূতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম,তার সহকর্মী,স্কুলের শিক্ষক,উপজেলা জার্ণালিষ্ট কম্যিউন্যিটি,বন্ধু প্রতিদিন-উপজেলা শাখা সহ বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান গভীর শোক প্রকাশ কওে শোকসপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। |