ঢোঁলভাঙ্গা নদীর কষ্ট!
সালমা আহমেদ : তিতাস বিধৌত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা বাঞ্ছারামপুর। সদর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে তিতাসে উপশাখা নদী হিসেবে স্থানীয়দের কাছে ব্যপক পরিচিত ঢোলভাঙ্গা নদী। শত বছরের পুরনো ঢোলভাঙ্গা নদীটিতে সর্বশেষ ১৯৮৬-৮৭ সালে নামমাত্র ড্রেজিং কার্য্যক্রম শুরু হতে না হতেই, সংশ্লিষ্ট সরকারি ড্রেজারটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাতের আধাঁরে ডিজেল তেল পাঁচার করে বিক্রি করার সময় স্থানীয় জনতার কাছে হাতে-নাতে ধরা পড়ে। ফলে,সমাপ্তি ঘটে আধ-সম্পূর্ণ ঢোঁলভাঙ্গা নদীর ড্রেজিং কার্য্যক্রম। যুগের পর যুগ আসলেও আর ড্রেজিং করা হয়নি নদীটি। এরই মধ্যে বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলার কতিপয় অসাধু ব্যক্তি মঁড়া ও পানি বিহীন শুকনো ঢোঁলভাঙ্গা নদীর তীরের একাংশ দখল করে মাটি ভরাটের মাধ্যমে। উপজেলা পরিষদের হর্তাকর্তা থেকে স্থানীয় এমপি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর কাছে নদীটি ড্রেজিং ও দখলমুক্ত করার জন্য যাত্রী থেকে শুরু করে বাঞ্ছারামপুর ব্যবসায়ী নেতা ও মোকামের সকল ব্যবসায়ীরা একাধিকবার বিভিন্ন সরকারের এমপিদের কাছে যেভাবে ড্রেজিং করার আবেদন করে বিমুখ হতে হয়েছে,এখনো সেই একই অবস্থা। তবে,মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি আশার বাণী শুনিয়েছেন।ড্রেজিং-এর দাবী সর্বমহলে সমস্বঁরে জেগে উঠলে তিনি ঘোষনা দেন- আগামী বর্ষায় অবশ্যই ঢোঁলভাঙ্গা নদীটি সরকারি খরচে খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে।এতে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ঢাকা ও নারায়নগনজ থেকে খুব কম খরচে বাঞ্ছারামপুরে নৌপথে আনা গেছে,প্রতিটি পণ্যের যাতায়ত খরচ কম হবে।ফলে জিনিসপত্রের দামও স্বাভাবিক কারনে কমতে বাধ্য।শত বছরের পুরনো ঢাকার সদরঘাট-টু-বাঞ্ছারামপুর ভায়া কানাইনগর নৌপথে চলমান লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে আরো ৩ বছর আগে।কেবল পানির নাব্যতার কারনে।আর পানি না থাকার কারনে,দু-ফসলী ধানী ইরি জমিগুলো এখন পরিণত হয়েছে এক ফসলীতে।তা-ও,আবার বানিজ্যিকভাবে ডিজেল চালিত মেশিনে পানি কিনে ইরি-ব্যুরো ধান ফলাতে হয়।খাঁজনার চেয়ে বাঁজনা বেশী পড়ে,কৃষকের কাঁধে।ফলে সকল শ্রেণী,পেশা ও এলাকাবাসীর দাবী,- যথাশীঘ্র সম্ভব বর্তমান সরকার যেনো অবশ্যই ঢোঁলভাঙ্গা নদীটি খাঁক্ হয়ে মৃত অবস্থা থেকে টেনে তুলে আবারো পানিতে থৈ থৈ করুক।কৃষক-ব্যবসায়ীদের কষ্ট ও খরচ কমুক। স্থানীয় সরকারের নানা মহলেসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে সর্বত্র জবাব আসে একটাই।এটি সরকারের উচ্চ মহলের সিদ্ধান্ত ও বিআইডব্লিটিসির ব্যাপার।এটি আমাদের কর্ম নয়।স্যরি। |