বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দুই ছাত্র নিখোঁজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মুঠোফোনে তাঁদের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আখাউড়া উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরকে গত ২১ মে থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বাঞ্ছারামপুরে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের নাম ছাদেক মিয়া (১২)। সে উপজেলার দশদোনা গ্রামের ব্যবসায়ী মনির হোসেনের ছেলে। ছাদেক দশদোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় মনির হোসেন গত শনিবার বাঞ্ছারামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে ছাদেক বাঞ্ছারামপুর সদরে বাবার কাপড়ের দোকানে ছিল। বেলা তিনটার দিকে সে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু সে বাড়িতে যায়নি। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও খোঁজ করে তার সন্ধান মেলেনি। শনিবার সকালে তাঁর সন্ধান চেয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়।
মনির হোসেন বলেন, ‘শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমার স্ত্রীর মুঠোফোনে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করে এক ব্যক্তি। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক থানায় জানিয়েছি। আমার ছেলেকে ফেরত চাই।’
এর আগে উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রাম থেকে ২০ এপ্রিল আশিক হাছান নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র নিখোঁজ হয়। সে ওই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শাহজাহান মিয়ার ছেলে। এখন পর্যন্ত আশিকেরও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বাঞ্ছারামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাব্বির রহমান বলেন, ‘অল্প দিনের ব্যবধানে আরও একটি ছেলে নিখোঁজ হওয়ায় আমরাও একটু চিন্তিত। নিখোঁজ ছেলেদের উদ্ধার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
আখাউড়ায় নিখোঁজ শরীয়ত উল্লাহ (১৭) দণি ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. খোরশেদ আলমের ছেলে। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এই কিশোর কালিকাপুর ব্র্যাক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শরীয়ত উল্লাহ ২১ মে বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় খোরশেদ মিয়া ২৪ মে আখাউড়া থানায় একটি জিডি করেন।
খোরশেদ মিয়া বলেন, শরীয়ত উল্লাহ মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। এ কারণে পড়ালেখায় সে পিছিয়ে রয়েছে। এক বছর আগে সে একবার নিখোঁজ হয়েছিল। তিন মাস পর তাকে পাওয়া গিয়েছিল। সে নাম–ঠিকানা বলতে পারে।
কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আশপাশের থানায় ছেলেটির ছবিও পাঠানো হয়েছে। সূত্র:প্রথম আলো