Main Menu

বাঞ্ছারামপুর ইউপি নির্বাচন :: বাঞ্ছারামপুর প্রচারণায় ব্যস্ত আওয়ামীলীগ, মাঠে নেই বিএনপি

+100%-

upelection

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় প্রার্থীরা

বিশেষ প্রতিবেদক :: প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রচারণায় ব্যস্ত আওয়ামীলীগ, নীরব বিএনপি প্রার্থীরা। দেশে প্রথম অনুষ্ঠিত দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রী, জমা এবং দলীয় মনোনয়ণ প্রদান করেন। দলীয় মনোনয়ন দিয়েই বিএনপি নেতারা দায়িত্ব শেষ করেছেন। চেয়াম্যান পদে আওয়ামীলীগের দু’জন বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ৭টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার কারণে ১০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপর দিকে বিএনপিরও ২জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন তেজখালি ইউনিয়নে তাজুল ইসলাম (নৌকা), আব্দুর রাজ্জাক (ধানের শীষ), বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ফায়জুর রহমান (আনারস), জহর মিয়া (টেলিফোন), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ইকবাল হোসেন (মটর সাইকেল), নূরুল ইসলাম (চশমা), শফিকুল ইসলাম (অটো রিকসা), ফরদাবাদ ইউনিয়নে মহিউদ্দিন আহমেদ (নৌকা), সালাউদ্দিন (ধানের শীষ), বিএনপি বিদ্রোহী মো: জসিম উদ্দিন (মটর সাইকেল), বিএনপি বিদ্রোহী মাসুকুল ইসলাম (চশমা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ (আনারস), ময়নাল হোসেন (রজনীগন্ধা), আব্দুল কাইয়ূম (হাতপাখা)। এ ইউনিয়নে বিএনপি বরাবরই শক্তিশালী অবস্থানে। এবার মাঠে নেই বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা। সরজমিনে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় প্রার্থী মনোনয়নে এলাকার প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ না করে এলাকার সেন্টিমেন্টকে উপেক্ষা করে ঢাকায় বসে প্রার্থী বাছাই করার কারণে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কেউ মাঠে নামছে না। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজকে বিজয়ী করার জন্য বিএনপির একটি অংশ এই মনোনয়ন দেয়। যারা মনোনয়ন দিয়েছে তারাও মাঠে নেই অপর অংশটিও মাঠে নেই। উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দকে বার বার তাগাদা দেওয়া স্বত্বেও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর ব্যপারে কোন ভূমিকা নেয়নি, এমনকি নেতারা এলাকা পরিদর্শনেও আসেনি। এ অবস্থায় অনেকটা অসহায় বিএনপি মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো: সালাউদ্দিন। এ ব্যপারে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাতে গুনা মধ্যম সাড়ির দুই একজন বাদে বিএনপির কোন দায়িত্বশীল নেতাকর্মীকে তিনি পাশে পাচ্ছেন না। আমার কর্মীদেরকে মারধর করা হচ্ছে। এ ব্যপারে উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হানিফ চেয়ারম্যান বলেন, দলীয় নেতৃ স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়নি এবং উপজেলা নেতৃবৃন্দ নির্বাচনের ব্যপারে ইউনিয়নের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়নি এবং নিজেরাও মাঠ পরিদর্শনে আসেনি। এই মনোনয়ন প্রক্রীয়ার সাথে যারা জড়িত তারা পরোক্ষ ভাবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে।
সোনারামপুর ইউনিয়নে মো: শাহীন মিয়া (নৌকা), নাসির উদ্দিন (ধানের শীষ), আব্দুল শুক্কুর খান (হাতপাখা)। মানিকপুর ইউনিয়নে আব্দুর রহিম (নৌকা), ফজলুল হক (ধানের শীষ)। রুপসদী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো: ফিরোজ মিয়া (নৌকা), দেলোয়ার হোসেন (ধানের শীষ)। দড়িকান্দী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম (নৌকা), সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল করিম (ধানের শীষ)। ছলিমাবাদ ইউনিয়নে আব্দুল মতিন (নৌকা), বিল্লাল হোসেন (ধানের শীষ), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী মদন মিয়া চিশতী (আনারস) ও বর্তমান চেয়ারম্যান এরশাদ মিয়া (চশমা)।






Shares