ইউপি নির্বাচন :: বাঞ্ছারামপুরে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হত্যা মামলার আসামি



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে। পুলিশ ও প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফা নির্বাচনে উপজেলার নয় ইউপির সাতটিতে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের নামে হত্যা মামলা রয়েছে। সোনারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. শাহিনের নামে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। মানিকপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুর রহিমের নামে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছলিমাবাদ ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মদন মিয়া চিশতীর নামেও একটি হত্যা মামলা আছে। ২০১৪ সালের ১৫ মে হোসনে আরা বেগম নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। পরে একই বছর ২১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় মদন মিয়াসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মদন মিয়া চিশতী দাবি করেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলা দেওয়া হয়েছিল। এ মামলা আপস হয়ে গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ জুলাই প্রতিপক্ষের হামলায় দুলারামপুর গ্রামের মো. সোলায়মান ভূঁইয়া (৫৫) নিহত হন। পরদিন তাঁর ভাতিজা নূর মোহাম্মদ সোনারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. শাহিনসহ ৯৪ জনকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মো. শাহিনসহ অন্য আসামিদের নামে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। এ বিষয়ে মো. শাহিন বলেন, ‘এ মামলায় আমি জামিনে আছি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।’ মামলার বাদী নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘অভিযোগপত্রভুক্ত হত্যা মামলার আসামি মো. শাহিন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় আমরা ন্যায়বিচার পাব কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত মো. শািহন আদালতে একবারও হাজির হননি।’
আবদুর রহিম বলেন, ‘চরের জায়গা নিয়ে দুই জেলার মারামারিতে ১৯৯৪ সালে কয়েকটি মামলা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায়। সে সময় আমি চেয়ারম্যান থাকায় মামলায় আমাকে জড়ানো হয়েছিল। একটি হত্যা মামলা ছাড়া সব মামলাতেই খালাস পেয়েছি।’
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংশু কুমার দেব বলেন, ‘আমাদের জানামতে, মো. শািহন হত্যা মামলায় আদালত থেকে জামিনে আছেন। মদন মিয়া চিশতীও জামিনে আছেন।’সূত্র: প্রথম আলো