Main Menu

বাঞ্ছারামপুরে যৌতুকের আগুনে পুুড়ছে নিলুফার সংসার, নির্যাতনে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে গৃহবধু

+100%-

Pic Nilufa

সাব্বির আহমেদ সুবীর, ফরদাবাদ থেকে ফিরে :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে যৌতুকের জন্য সৌদিআরব প্রবাসী স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ির শারিরিক নির্যাতনে গুরুতর আহত করেছে নিলুফা আক্তার(২৫) নামের এক গৃহবধু। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতাল বেডে বেদনায় কাতরাচ্ছে উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের এই গৃহবধূ। মঙ্গলবার তাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

নির্যাতিত গৃহবধুর পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের রবির বাজার সংলগ্ন এলাকার ফিরোজ মিয়া ছেলে রাসেল মিয়ার সাথে কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ওয়াদুদ মিয়ার মেয়ে নিলুফা আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে গত ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আরো যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করতেন। গত ১মাস আগে স্বামী রাসেল মিয়া সৌদি আরব থেকে বাড়ি এসে আরো টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে। দরিদ্র বাবার কাছ থেকে টাকা এনে না দেওয়ায় মঙ্গলবার সকালে স্বামী রাসেল ও তার বাবা মা নিলুফাকে ব্যাপক মারধর করে বাড়িতে ফেলে রাখে। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে। এঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ি পলাতক রয়েছে।

এবিষয়ে গৃহবধু নিলুফার মা হোসনে আরা বেগম জানান, “মেয়ের বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ১লক্ষ ২৬হাজার টাকা দেই জামাই বিদেশ যেতে। আরো টাকার জন্য আমার মেয়েকে চাপ দিয়ে আসছিল। জামাই দেশে আইসা গত এক মাস ধইরা আরো ২লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় জামাই ও তার বাবা মা আমার মেয়েকে ব্যাপক মারধর করে বাড়িতে ফেলে রাখে। পাড়া প্রতিবেশী হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছি মেয়েকে দেখতে।”

এবিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ অংশু কুমার দেব জানান, “ গৃহবধুকে নির্যাতনের ঘটনা আমি শুনিনি। কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি, থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”






Shares