ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান ডক্টর মোহাম্মদ ওসমান গনির প্রফেসর পদে পদোন্নতি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৩ নং সুহিলপুর ইউনিয়ন এর কৃতি সন্তান ডক্টর মোহাম্মদ ওসমান গনি সহযোগী অধ্যাপক থেকে পদোন্নতি পেয়ে অধ্যাপক পদে উন্নীত হয়েছেন। তিনি সুহিলপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মরহুম জনাব নওয়াব আলী মাষ্টার এর জ্যেষ্ঠ পুত্র। বর্তমানে উনি ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে অর্থনীতি বিভাগে কর্মরত আছেন।
ড.মোহাম্মদ ওসমান গনির জন্ম ১৯৫২ সালে উত্তর সুহিলপুর গ্রামে। ছোট বেলা থেকেই উনি তীক্ষ্ম মেধাবী ছিলেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে স্কলারশিপ পেয়েছেন। ১৯৬৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কুমিল্লা বোর্ডে সপ্তম স্থান অর্জন করেন। এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিলা বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করে তাক লাগিয়ে দেন। এরপর প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাষ্টার্স লাভ করেন। স্নাতকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় হোন যা তৎকালীন সময়ে বিরল ছিল। ১৯৮৫ সালে উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে উনি আমেরিকা গমন করেন। ১৯৮৬ সাল থেকে বিশ্বের অন্যতম স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসাবে যোগদান করেন এবং উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। সুহিলপুর ইউনিয়ন এর মধ্যে উনিই সর্বপ্রথম ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। উনি আমেরিকা থাকার সুবাদে স্বপরিবারে সেই দেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন। ২০০০ সালে নিউইয়র্ক ছেড়ে কানাডার টরেন্টোতে চলে যান এবং সেখানেও স্বপরিবারে নাগরিকত্ব লাভ করেন। ২০০৭ সালে মাতৃভুমির টানে বাংলাদেশে চলে আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। যদিও উনার ছেলেমেয়েরা কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। উনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। উনার স্ত্রী একজন বিদূষী মহিলা যিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ডক্টর ওসমান গনি মহোদয় ২০০৭ সালে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আই.ইউ.বি) এ সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন এবং এখন পর্যন্ত কর্মরত আছেন।
উনি মূলত একজন অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও লেখক। অর্থনীতির জন্য এখন পর্যন্ত নিরলসভাবে লিখে যাচ্ছেন। প্রায় ত্রিশটির উপর বই লিখেছেন এবং বেশ কিছু প্রকাশিত হয়েছে। উনি মূলত পুঁজিবাদী অর্থনীতি বাদ দিয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করছেন। উনি তার লেখনী বা বক্তৃতার মাধ্যমে এটাই বুঝাতে চান যে, বর্তমান অর্থনীতি ব্যবস্থায় গরীবের দাবি নস্যাৎ করা হচ্ছে এবং সুবিধাবাদীদের দাবি বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। নৈতিকতার প্রশ্নে কেউ কোন কথা বলেনা।
আমরা তার সর্বাঙ্গীন উন্নতি ও সফলতা কামনা করছি।