সরাইলে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা
প্রতিনিধি :: সরাইলে মুখ চেপে ধরে ভূইশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (০৯) ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে তিন সন্তানের জনক কালা মিয়ার (৩৭) বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ছাত্রীর মা নারগিছ বেগম।
গত শনিবার রাতে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভূইশ্বর গ্রামে লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর বসত ঘরে তালা ঝুলিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে লম্পট কালা মিয়া। তার বিচারের দাবীতে একাট্রা এখন পুরো গ্রামবাসী।
গ্রামবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে আটটায় নারগিছ বেগম তার সন্তানদের ঘরে রেখে এক প্রতিবেশীর ঘরে পান আনতে যান। এ সময় ওই ছাত্রী তার চাচার ঘরে যেতে বের হয়। সুযোগে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা কালা মিয়া স্কুল ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে দ্রুত বাড়ির পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ঘরে ফিরে নার্গিছ তার মেয়েকে না পেয়ে চিৎকার করে চারিদিকে খুঁজতে থাকেন। ছাত্রীর শরীরের সকল জামা কাপড় খুলে কালা তার লালসা মেটানোর জন্য প্রস্তুুতি নেওয়া মাত্র ছাত্রী জুরে চিৎকার দেয়। এ সময় ওই ছাত্রীর মা ও প্রতিবেশীরা দৌড়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কালা মিয়া পালিয়ে যায়। বিবস্ত্র অবস্থায় স্কুল ছাত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার তার স্বজনরা। ভয়ে ছাত্রীটি বাকরুদ্ধ হয়ে কাঁপছিল। কিছুক্ষণ পর ছাত্রী পুরো ঘটনা খুলে বলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ সালিস কারকরা বিষয়টি সামাজিক ভাবে নিস্পত্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
মঙ্গলবার ছাত্রীর মা নারগিছ বেগম বাদী হয়ে কালার বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন ( মামলা নং-৫৪) । দুপুরে ওই গ্রামে গেলে শতাধিক নারী পুরুষ জড়ো হয়। কালা মিয়ার বিরুদ্ধে তারা এক গাদা অভিযোগ করেন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের অর্ধশতাধিক মহিলা।
গ্রামের বাসিন্ধা মোছেনা বেগম (৪০), ফুল বানু (৪৩), আনোয়ারা বেগম (৪২) সহ অনেকেই বলেন, কাইল্লা অনেক পূর্ব থেকেই চরিত্রহীন ও লম্পট। গ্রামের অনেক মহিলার ঘরের দরজা সে খুলেছে। শেষ পর্যন্ত একটি নিস্পাপ শিশুর দিকে তার নজর গেছে। ঘটনা শতভাগ সত্য। কাইল্লার বিচার না অইলে দুনিয়া থাকব না। মাতাব মিয়া (২২), খোরশেদ (৪৭), হাজী আবদুর রশিদ (৭০), মোঃ তৌহিদ মিয়া (৪৪), সর্দার হাজী আমির আলী (৫০), হাজী আম্বর আলী (৫৫) ও ইউপি সদস্য আবুল বাশার (৫৬) ক্ষোভের সাথে বলেন, কালা অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির ও চরিত্রহীন। এক বছর আগে সে তার বাবা আশকর আলীকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে ধামা চাপা দিয়েছে। তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া দরকার। কালার সহোদর বড় ভাই রহিম আলী (৪০) বলেন, সে নষ্ট। তাকে ধরে পুলিশে দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এটা একটা বর্বর ঘটনা। আমরা লম্পটের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করব।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনা সত্য। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে দুই জায়গায় অভিযান চালিয়েছে।