ইয়াবার আগ্রাসনে বাড়ছে ছিচকে ছিনতাইকারী-সন্ধ্যা হলে মাদকাসক্তদের দৌরাত্বে চলাফেরা ঝুকিপূর্ণ।
প্রতিবেদক :: ১৯মার্চ, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা।হোমনা সদর উপজেলার চকবাজার ও মডেল থানার ১০০গজ দূরের ষ্টীলব্রীজ সংলগ্ন টিএনটির মাদকের আস্তানা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত ২ পোল্ট্রিফার্মেও ব্যবসায়ী এসেছিলেন মুরগীর খাবার কিনতে।গন্তব্য বাহেরচর গ্রাম।আকষ্মিকভাবে ৩/৪জন এলাকায় বেশ চিহিৃত ইয়াবাসেবী ঘিরে ধরে তাদের।৫মিনিটের মিশন,পকেটে থাকা ২ ব্যবসায়ী রহিমউল্লাহ ও আ.কাদিরের পকেট থেকে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও দুটি ষ্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চর থাপ্পর মেরে থানায় অভিযোগ না জানাতে শাসিয়ে দোর্দন্ড প্রতাবে পায়ে হেটে চলে যায়।এর ৩ ঘন্টা আগে তিতাস উপজেলার মাতুবাড়ীর মোড়ে একই ষ্টাইলে ছিনতাই হয় আরো ৩টি মোবাইল।
বুধবার ভোরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপুসদী,আকানগর,দরিয়াদৌলত গ্রামে ছিনতাই হয় আরো ডজন খানেক মোবাইল ও সামান্য পরিমান টাকা।ছিনতাইকারীদের তালিকা থানা পুলিশ জানেন এবং মাসে গড়ে ৪জনকে জেলহাজতে প্রেরন করা হচ্ছে বলে জানান বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.দেলোয়ার হোসেন ও মো.ফিরোজ।কিন্তু সপ্তাহ ঘুরে আসতে না আসতেই তারা জামিনে বের হয়ে ফের নেশার টাকা ম্যানেজ করতে আগের পেশায় ফিরে যায়।
নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বকারী কুমিল্লা উত্তরজেলা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সা.সম্পাদক মো.সেলিম ও বিএনপি নেতা শুকড়ী মোহাম্মদ জানান,-আমাদের জানা মতে ও এলাকা ঘুরে দৈনিক যে সমস্ত অভিযোগ পাই তার ৮০ মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা।
দৈনিক উপজেলার ১৩টি ইউপির ১২২টি গ্রামে মাদকের আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।ফেন্সিডিলের মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে যাওয়ায় এখন মাদকসেবীদেও ৯০ভাগই ঝুকছে ইয়াবার প্রতি।বাকীরা গাজা সেবন করছে।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ও মাদকবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক প্রকৌ.জুয়েল আহম্মদ জানান ,ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আগে ধরে মাদকের গুরুতর ধারা সংযুক্ত করে চালান করলে সহজেই জামিনে আসতে পারবে না।সে ক্ষেত্রে ছিনতাই কমতে পারে। ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে ও অনুসন্ধানে জানা গেছে মাদকসক্তদের অনেকেই এলাকার অভিজাত পরিবারের সদস্য।ফলে মোবাইল বা ছিনতাইকৃত টাকার পরিমান কম হলে এদের কেউ-ই ‘হিতে বিপরীত হওয়ার ভয়’ ও উটকো ঝামেলার কারনে থানায় অভিযোগ করতে যান না।