Main Menu

পরকিয়ায় জড়িয়ে প্রেমিকের সাথে পালালো ৫ জননীর মা !

+100%-

প্রতিবেদক: কক্সবাজারের উপকুলীয় এলাকায়  প্রেমিকার হাত ধরে উধাও হয়ে গেছে ৫ সন্তানের জননী। সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী রেশমা আক্তার গত ২০ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে সন্তানদের ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে স্থানীয় এক প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায়।  ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, স্থানীয় চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের খামার পাড়া গ্রামের মৃত ওবাইদুল হকের পুত্র হাফেজ নুরুল আলমের সাথে একই ইউনিয়েনের পশ্চিম পাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী শামশুল আলমের স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী রেশমা আক্তারের দীর্ঘদিন পরকিয়া প্রেম চলছিল। এ নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কানাঘুষা চলছিল। অবশেষে পরকিয়া প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি গভীর রাতে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।

২১ ফেব্রুয়ারী সকালে রেশমার ছোট ২ ছেলে ইমরান ও ফাইসাল মাকে না দেখে কান্নাকাটি শরু করে। তাদের কান্নাকাটি শুনে পার্শ্ববর্তী লোকজন গিয়ে দেখতে পায় রেশমা আক্তার বাড়ীতে নেই। উক্ত বাড়ীর সামনের এক মহিলা জানায়, ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে তার প্রেমিক  হাফেজ নুরুল আলম সিএনজি যোগে তাদের বাড়ীতে ঢুকে। এরপর রেশমাকে নিয়ে সিএনজিতে করে দ্রুত চলে যায়।

রেশমাকে খোঁজাখুজির পর না পেয়ে তার শ্বশুর শ্বাশুড়ী হাফেজ নুরুল আলমের বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ খবর নিলে তার স্ত্রী জানান, আমার স্বামী ব্যবসায়িক কাজ দেখিয়ে ২/৩দিন বাড়ীতে আসেনি এবং তার মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জানান, রেশমা ও তার স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের জন্য বহবার আমাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে। এ কথা বলে নুরুল আলমের স্ত্রী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচানর ঝড় উঠে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা এহেছানের মতামত জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাফেজ নুরুল আলম এর আগেও অনেক জায়গায় সৌদি প্রবাসী স্ত্রীদের সাথে অবৈধ মেলামেশা করার সত্যতা পাওয়ায়। কয়েকটি ঘটনায় এলাকার লোকজন তাকে হাতে নাতে ধরে ঝাড়ু-পিটুনিও দেয়।  তিনি বলেন, একজন অসৎ হাফেজ নামধারী লোকের জন্য আজ আমাদের চৌফলদন্ডীবাসীর সম্মান ডুবতে বসেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম এ বিষয়ে বলেন, খামার পাড়ার লোকের মুখে ঘটনাটি সত্য বলে শুনেছি। তাকে আমরা চৌফলদন্ডী থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তার অবৈধ সব তথ্য ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছি এবং এলাকার গন্যমান্য, সচেতন ব্যক্তি ও মুসল্লি সমাজ মিলে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছি।

তিনি বলেন, তার মত নারী লোভী, মামলাবাজ এবং দুশ্চরিত্র লোকের চৌফলদন্ডীতে কখনো ঠাঁই হাতে পারেনা। আমরা ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী তাকে অত্র ইউনিয়নে জনসম্মুখে বিচার করবো।

তিনি আরো বলেন, হাফেজ নুরুল আলম নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, নারী ধর্ষণ ও মারাত্মক অবৈধ কাজ করে আসছে।  উধাও হওয়া প্রেমিক জুটিকে আমরা উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা করছি।

জানা যায়, রেশমার স্বামী দীর্ঘদিন যাবত সৌদি আরবে কর্মরত। তিনি ছেলেমেয়েদের জন্য প্রতি মাসেই বিশাল অংকের টাকা পাঠান। তার স্ত্রী যে পরকীয়া প্রেমে মগ্ন তা সৌদি প্রবাসী ঐ ব্যক্তির কানেও গিয়ে পৌঁছে। তিনি এ বিষয়ে স্ত্রী কয়েকবার ভৎসনাও করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।






Shares