নাসিরনগর-সরাইল-লাখাই মহাসড়কে চলছে, সড়ক-জনপদ ও সরকারী খাস জমি দখলের মহোৎসব।
নাসিরনগর সংবাদদাতা :: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হাসপাতাল ও কলেজ মোড়ে, বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আক্তার নগর বাজারে রাস্তার দুই দ্বারে সড়ক জনপদ ও সরকারী খাস ভূমি দখল করে জোড়ে সোড়ে চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ।
এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে দখল করে নিচ্ছে এসমস্ত সরকারী জায়গা। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতাল ও কলেজ মোড় সহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দুই পাশে সড়ক ও জনপদের জায়গায় ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। ফলে সরু হয়ে পড়ছে ব্যস্ততম রাস্তা। যানবাহন ও জনগণ চলাচলে ব্যহত হচ্ছে। প্রতিদিন উক্ত রাস্তা দিয়ে কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, হাসপাতালের রোগী ও হাজার হাজার জনগণ সহ যানবাহন চলাচল করছে। হাসপাতাল মোড়ের পশ্চিম দিকে ১নং খাস খতিয়ানের সে.মে. ২৫৫২ দাগের সরকারী রাস্তার উপরে খাস জমি দখল করে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মিলে দু’ছালা টিনের ঘর সহ দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে দখল করে রাখছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে উচ্ছেদ মামলা নং-০৪/১৩, দেওয়ানী মামলা নং-৩২ ও ৩৩/১৩, সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মামলা চলমান রয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ৩৭১(৫) নং স্মারকে ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিলের মাঝে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করে অবৈধ স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা সরানো না হলেও পুনরায় ১০ মার্চ ২০১৬ইং সালে নাসিরনগর সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয় থেকে ২৬২(৫) নং স্মারকে সহকারী কমিশনার (ভূমি), জাকির হোসেনকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করে ১৫ মার্চ ২০১৬ইং তারিখের মাঝে উক্ত অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও মালামাল সরানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে উল্লেখিত অবৈধ স্থাপনাগুলো।
এসমস্ত অবৈধ স্থাপনা সরানো না হলে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা। তাছাড়াও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে না পারায় ক্ষুণ্ন হচ্ছে সরকারের ভাব-মূর্তি। এসমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন।