যুক্তরাজ্যে জুমার নামাজে পুরুষদের জন্য নারী ইমাম!



ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো একজন নারীকে যুক্তরাজ্যে জুমার নামাজের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ইন্ডিপেডেন্ট ইউকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ১’শ লোকের জামাতে রাহেল রাজা নামের এক কানাডিয়ান লেখিকা এ ইমামতি করেন।
এই জামাতের আয়োজক ড. তাজ হারজির মতে, জামায়াতে নারী ও পুরুষের একসঙ্গে প্রার্থনা করা উচিত।
যেখানে ইমামতি করবেন একজন নারী। এরকম হলে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমে আসবে। এ ইমামতির ব্যাপারটি ইসলামের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে অন্যান্য নারীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করবে বলেও মনে করেন তিনি।
এদিকে একটি যৌথ জামাতে ইমামতি করতে পেরে গর্বিত রাহেল রাজা।
তিনি বলেন, এটি তার জীবনের একটি গভীর অভিজ্ঞতা। এর আগে ২০০৮ সালে আমেরিকায় আমিনা ওয়াদুদ নামের একজন নারী জামাতে নামাজ পড়ানোর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি ৪০ জনেরও কম লোকের একটি জামায়াতে নামাজ পড়ান। তবে এই প্রথম কোনো নারী ইমামতি শুরু করলেন তার চাকরি হিসেবে।
প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কোনো নারী নামাজে ইমামতি করতে পারেন না। কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিতে ইমামতি করার পূর্বশর্ত হচ্ছে পুরুষ হওয়া।