‘WhatsApp-এও দেওয়া যাবে তালাক’
ডিজিটাল ডেস্ক: তালাক, তালাক, তালাক। ইসলামিক আইনে মাত্র এই তিন শব্দে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টেরও পর্যবেক্ষণ ছিল, স্কাইপি, হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস, ই-মেল বা মোবাইল ফোনে ‘তালাক’ দেওয়া মুসলিম ধর্মের নারীদের প্রতি অত্যাচারের সামিল। বেআইনি। দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণকেই বেআইনি আখ্যা দিয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড-এর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ আইনগত ভাবে ঠিক নয়। কারণ, এটা ধর্মীয় রীতির অংশ।
মুসলিম ল’ বোর্ডের বক্তব্য, স্কাইপি, হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস, ই-মেল বা মোবাইল ফোনে ‘তালাক’ দিলেও তা গ্রহণযোগ্য। বোর্ডের এক সিনিয়র সদস্য আব্দুল রাহুল কুরেশির কথায়, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার ভারতের সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারায় প্রাথমিক অধিকার। তাই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ সংবিধান অনুযায়ী ঠিক নয়।’ তাঁর আরও বক্তব্য, ইদাত (তালাকের পর অপেক্ষার সময়) পেরনোর পর মুসলিম নারীরা দ্বিতীয় বিয়ে করতেই পারেন।
কুরেশি বলছেন, ‘তিনবার তালাক দেওয়ার পরেও তো কোনও মুসলিম পুরুষ ইদাত চলাকালীন তালাক ফিরিয়ে নিতে পারেন। যদি সেই ব্যক্তি মনে করেন, তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তাই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস বা ফোনে তালাক দিলে তা প্রযোজ্য।’
« ১২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অভিযানে গাঁজাসহ মিনি ট্রাক আটক (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আসছে বিরতিহীন নতুন ট্রেন »