ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দলিল :::হত্যার-বদলে-হত্যা প্রথা রহিতকরণ::



ডেস্ক ২৪::কোন মুসলিম আমলদার ব্যাক্তি যদি বিদায় হজ্জের ভাষণের মর্মবানী না বুঝেন, তাহলে তাকে কি বলে আখ্যায়িত করা যায়?
নাস্তিক/অধার্মিক, অন্যধর্মের অনুসারী, বা সাধারণ মানুষকে “ইসলামের নামে হত্যাকারীকে কেন কাফেল বা মুসরেক বলা যাবে না?
হত্যার-বদলে-হত্যা প্রথা রহিতকরণ
“শুনে রেখো, অন্ধকারযুগের সব কুসংস্কার, সকল অন্ধবিশ্বাস এবং সব ধরনের অনাচার আজ আমার পায়ের নিচে দাফন করা হলো। বর্বর যুগের শোণিত-প্রতিশোধ প্রথা আজ থেকে রহিত করা হলো। …. আমি সর্বপ্রথম আমার স্বগোত্রের প্রাপ্য সুদ ও সব ধরনের রক্তের দাবি রহিত ঘোষণা করছি। …. মনে রেখো! একজনের অপরাধে অন্যকে দণ্ড দেওয়া যাবে না। পিতার অপরাধে পুত্র এবং পুত্রের অপরাধে পিতাকে অভিযুক্ত করা চলবে না। ”
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি
“ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। এতদ্বিষয়ে সীমা লঙ্ঘনের কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। মনে রেখো! তোমাদের সবাইকেই আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হতে হবে। তাঁর কাছে এসব কথার জবাবদিহি করতে হবে। সাবধান, তোমরা আমার পরে পথভ্রষ্ট হয়ে যেয়ো না, খোদাদ্রোহী হয়ে পরস্পরে রক্তপাতে লিপ্ত হয়ো না।”
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নেই
“অনারবদের ওপর আরবদের প্রাধান্যের কোনো কারণ নেই। মানুষ সবাই আদমের সন্তান আর আদম মাটি থেকে সৃষ্ট। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই, আর জগতের সব মুসলমান মিলে এক অবিচ্ছেদ্য ভ্রাতৃসংঘ।”
*** “অনারব কাদের বুঝানো হয়েছে? তাদের উ্পর প্রাধান্যের বা ক্ষবরদারীর করার সুযোগ নাই।
*** মানুষ সবাই মাটির তৈরী,
প্রশ্ন করতে বাধ্য হলাম- বাঙ্গালী, হিন্দু, খৃষ্টান, নাস্তিক অনারব নয় কি?
কোরআনের বানী:
সূরা আল মায়েদাহ ৩২
بسم الله الرحمن الرحيم
مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ كَتَبْنَا عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنَّهُ مَن قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا وَلَقَدْ جَاء تْهُمْ رُسُلُنَا بِالبَيِّنَاتِ ثُمَّ إِنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم بَعْدَ ذَلِكَ فِي الأَرْضِ لَمُسْرِفُونَ
এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।
বিদায় হজ্জের ৪টি হাসিদ ও সরাসড়ি আল্লাহর বানী পবিত্র কোরানের উক্তি থেকে কি শিক্ষা নেবো, অল্পকথায় অত্র ব্লগের সকলের মতামত চাই।
আল্লাহ পাকের বানী: পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে।
প্রশ্ন: পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি শব্দটির বিশ্লেষণ কি?
জয় হউক কল্যানের, জয় হউক মানুষের।