বৃটিশ হাইকমিশনার সাইমন কলিসের সস্ত্রীক ইসলাম গ্রহণের পর হজ পালন



ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর সৌদি আরবে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত সাইমন কলিস হজব্রত পালন করেছেন। ৬০-বছর বয়সী মি. কলিসই প্রথম কোন ব্রিটিশ দূত যিনি হজ করলেন। তার স্ত্রী হুদা মুজারকেশও তার সাথে হজ পালন করেছেন।
হজের প্রচলিত সাদা পোশাক পরা মি. কলিসের বেশ কিছু ছবিও ছাপা হয়েছে।
সৌদি আরবের একজন লেখক ও নারী আন্দোলনকারী ফওজিয়া আলবাকার তার টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ছবিগুলো পোস্ট করেন।এক টুইটবার্তায় তিনি লেখেন: “সৌদি আরবে প্রথম ব্রিটিশ দূত ইসলাম গ্রহণের পর হজ পালন করছেন। ছবিতে তাকে তার স্ত্রীর সাথে মক্কায় দেখা যাচ্ছে। আল্লাহু আকবর।“
এরপর অনেকেই ব্রিটিশ দূতকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেন। একজন সৌদি রাজকন্যা বিনমাহ্ বিনতে সৌদ টুইট করেন: “রাষ্ট্রদূত এবং তার স্ত্রীর প্রতি রাইল বিশেষ অভিনন্দন।“
এরপর মি. কলিসও টুইটারে সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি লেখেন, তার স্ত্রীকে বিবাহের কিছুদিন আগে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। মি. কলিস ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে তিনি ইরাক, সিরিয়া এবং কাতারেও রাষ্ট্রদূত ছিলেন। নিরাপত্তা ঝুঁকির জন্য ২০১২ সালে তাকে সিরিয়া থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তিনি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
পাশাপাশি তিনি তিউনিস, নয়া দিল্লি এবং আম্মানেও কূটনীতিক হিসেবে কাজ করেছেন।