ইয়াহুর অপ্রিয় দশের সেরা মমতা ব্যানার্জী
একদিকে বিখ্যাত টাইম পত্রিকা দুনিয়ার প্রভাবশালী প্রথম ১০০ জনের মধ্যে স্থান দিয়েছে তাকে। আরেকদিকে ওয়েব পোর্টাল ইয়াহু ভারতের প্রথম ১০ জন অপ্রিয় রাজনীতিকের তালিকাতে স্থান দিয়েছে তাকে। এবং সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল দলের প্রধান নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। কয়েকদিন আগেই টাইম পত্রিকা তাঁকে যখন দুনিয়ার সেরা ক্ষমতাবানদের তালিকায় স্থান দিয়েছিল, তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রচারমাধ্যমে বেশ আলোড়ন শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ইয়াহু’র অপ্রিয় তালিকাতে এত তাড়াতাড়ি তার নাম এসে যাবে কেউ কলপনাও করতে পারেননি। অবশ্য ভারতের সেই অপ্রিয় তালিকায় আছেন তিনি সবার উপরে। অপ্রিয় রাজনীতিবিদের সেই তালিকায় মমতা ব্যানার্জির পরে যথাক্রমে আছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, বি জে পি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দুর্নীতির দায়ে জেলে থাকা প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা, কানিমোঝি, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারী মায়াবতী, কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ার এবং কমনওয়েলথ গেমসে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সুরেশ কালমাদি রয়েছেন। প্রথম সেরা ১০০ তালিকাতে মমতা দেবীর নাম থাকায় যতটা খুশি হয়েছিলেন তৃনমুল পন্থীরা, প্রথম অপ্রিয় ১০ তালিকা প্রকাশের পরে ঠিক ততটাই অখুশি তারা। তাদের কেউ কেউ বলছেন, এটা তাকে বদনাম করার জন্য করা হয়েছে। আর বাঙ্গালীর চিরাচরিত আড্ডার ঠেকে এখন এই ১০০ আর ১০ নিয়ে চলছে জমিয়ে রসিকতা। ইয়াহু জানিয়েছে, ‘তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আশা করা হয়েছিল সিপিএম এর থেকে ভালো সরকার চালাবেন। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনা ঘটতে থাকে। ধর্ষণের ঘটনাকে সাজানো বলে মন্তব্য করে তিনি জানিয়ে দেন রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই এই অভিযোগ। এক মহিলা অফিসার তদন্ত করে প্রমাণ করে দেন ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা নয়। মমতা তাঁকেই পদ থেকে সরিয়ে দেন। এরপর এক অধ্যাপক এবং বিজ্ঞানীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিপিএম সমর্থকদের বিয়েও করা যাবে না’। আর সেই কারণে তিনি ইতিমধ্যেই ভারতের সবচেয়ে অপ্রিয় রাজনীতিকদের দলের সেরা হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। তথ্যসূত্র-
|
« ইন্টারনেটে ইলিয়াস ঝড় (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) পাসপোর্ট সমস্যায় ত্রিপুরার হজ যাত্রীরা »