দেখা মিলছে না স্যুট টাই পরা বাবুদের
স্যুট-টাই পরা বাবুদের তো দেখা যাচ্ছে না। শুনছি ওদের নাকি খুজে পাওয়া যাবে না। পত্রিকাগুলো লেখালেখি করার পর সরকার নাকি ওদের পিছনে উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু জমি বিক্রি করে ছেলের কথামত দেড় লাখ টাকা দিলাম তা ফেরত দেবে কে? মন কষ্ট নিয়ে এমনই কথা বললেন বেনাপোল পোর্ট থানার মহিষাডাঙ্গা গ্রামের ওমর আলী। একই কথা যশোরের শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পোর্ট থানার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শত শত মানুষের। অনেকে তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য বিভিন্ন অফিসে ঘুরছেন কয়েকদিন ধরে। গত কয়েকদিন ধরে ডেসটিনিসহ বিভিন্ন এমএলএম কোম্পানির প্রতারণা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এ নিয়ে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এ খবর প্রকাশের পর থেকে এ অঞ্চলের অফিসগুলোতে কলোহল কমে গেছে। এসব অফিসগুলোতে মিটিংএর সময় নানা কায়দায় হাততালি ও আওয়াজে আশেপাশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। এদিকে ৫ পরিচালকের এক সঙ্গে পদত্যাগের খবরে গ্রাহকদের মাঝে নেমে এসেছে হতাশা ও উৎকণ্ঠা। অনেক গ্রাহকরা জানান, গত কয়েকদিনে বিভিন্ন সংবাদপত্রে যে লেআলেখি হয়েছে তাতে ডেসটিনির প্রতি পূর্ণ আস্থা হারায়নি। পরিচালকদের পদত্যাগের খবরে মনোবল হারিয়ে ফেলেছি। এখন আসল টাকা পাবার আসা ছাড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় কি করবো তা ভেবে পাচ্ছি না। যে অফিসগুলোতে প্রতিদিন স্যুট টাই পরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভদ্রলোকদের ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যেত সেখানে টেবিল চেয়ার ছাড়া আর কিছুই নেই। অনেক অফিস বন্ধ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও অফিস খুলছে না ডেসটিনির সাথে জড়িতরা। গতকাল ডেসটিনির বেনাপোলের হক টাওয়ারের কার্যালয়টি বন্ধ দেখা গেছে। অফিসের আশেপাশে বেশ কিছু গ্রাহককে অফিসগুলোর সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তারা জানান, আসলে কি হচ্ছে তা দেখার জন্য এসেছেন। কিন্তু লোকজন না দেখে এখন ভয় হচ্ছে। যদি টাকা ফেরত না পান তাহলে নিঃস্ব হতে হবে তাদের। সাগর নামের ডেসটিনির এক কর্মী বলেন, টাকা মার যাবেনা। সবাই টাকা ফেরত পাবে। কিছু কুচক্রী মহল ডেসটিনির বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে বেড়াচ্ছে। |