মোসাদঃ এক দুর্ধর্ষ ও ভয়ংকর গোয়েন্দা সংস্হার নাম-
বাঘা গোয়েন্দা সংস্হার নাম মোসাদ। অতি দক্ষ গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গড়া এই সংস্হার ক্ষীপ্রতা ও দুঃসাহিকতা শত্রু মিত্র উভয়ের কাছেই রুপকথার মতো। মোসাদের ভয়ংকর কিছু অপারেশান কল্প কাহিনীকেও হার মানায়। ১৯৪৯ সালে মোসাদের জন্ম হলেও ১৯৯৬ পর্যন্ত কেউই জানতোনা এই সংস্হাটার প্রধান কে। ১৯৯৬ সালে যখন সাবতাই কে অপসারন করে ডেনি ইয়াতমকে নিয়োগ দেওয়া হয় এক ঘোষনার মাধ্যমে, তখন এই প্রথম বিশ্ববাসী জানতে পারে এই সংস্হাটার প্রধান কে। কিডনাপ করা ও গুপ্তহত্যায় এই সংস্হাটা বিশ্বে অদ্বিতীয়। ডেভিড বেনগুরিয়ান মুলত এই সংস্হাটার প্রতিষ্ঠাতা। মোসাদের বেশীরভাগ লোকই সাবেক সন্ত্রাসী সংগঠন হাগানাহ,ইরগুন, স্টানগেন্গ এর লোক।
১৯৫৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে ২৮তম কম্যুনিস্ট সম্মেলনে যখন নিকিটা ক্রুশ্চেভ এক গোপন মিটিংয়ে স্টালিনকে অভিযুক্ত ও অস্বীকার করে নিজেই প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষনা করে, ঐ বক্তব্যের এক কপি মোসাদ সিআইএর হাতে দিয়ে দেয়। এই প্রথম সিআইএ মোসাদের কার্যক্রম উপলব্দি করে যাতে সিআইএ অবিভূত হয়। কারন সিআইএর মত সংস্হাটি ও এই রকম একটা সেন্সেটিভ সংবাদ সংগ্রহে ব্যর্থ। পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মোসাদকে সাহায্য করার জন্য অগনিত ভলেন্টিয়ার,এরা সবাই জন্মগত ইহুদি এবং জায়োনিস্টের সমর্থক। এরা সবসময় তৈরী থাকে শত্রুর তথ্য জানানো বা গোয়েন্দাগিরী করা সন্দেহবাজনদের উপর।
গুপ্ত হত্যায় দক্ষ এই মোসাদ বেশীরভাগই সময়েই হামলার জায়গায় থাকেনা। বেশীরভাগ সময়েই এরা চেষ্টা করে স্হানীয় মাফিয়া বা সন্ত্রাসীদের দ্বারা নিজেদের কাজ করে নিতে, যদি মাফিয়াদের দ্বারা সম্ভব না হয়, তাহলে শুধুমাত্র ওখানেই মোসাদের ডেথ স্কোয়াড কাজ করে।
আট টা ডিপার্টমেন্টের উপর মোসাদ কাজ করে , যার মধ্যে ৫ হতে ৬ টা ডিপার্টমেন্ট অনেকেই জানলেও বাকী দুই ডিপার্টমেন্টের কথা কেউই জানে না।
১. কালেকশান ডিপার্টমেন্টঃ এটি সবচেয়ে বড় ডিপার্টমেন্ট , যারা বহির্বিশ্বে ডিপ্লোমেট, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সহ অন্যান্য ছদ্মবেশে কাজ করে।
২.পলিটিক্যাল একশ্যান এবং লাইয়াশন ডিপার্টম্যান্টঃ এই গ্রুপটা বন্ধুত্বপুর্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্হা এবং যাদের সাথে সম্পর্ক নেই ওদের মাঝে সমন্বয় করে।
৩.স্পেশাল অপারেশান ডিপার্টমেন্টঃ এই গ্রুপ স্পর্শকাতর গুপ্ত হত্যায় জড়িত।
৪.ল্যাপ ডিপার্টম্যান্টঃ এই গ্রুপ মনস্তাত্বিক যুদ্বের জন্য দায়ী, যাদের কাজ প্রপাগান্ডা ও ধোঁকার কাজ করা।
৫.রিসার্চ ডিপার্টম্যান্টঃ যাবতীয় গোয়েন্দা গবেষনার জন্য হলো এই গ্রুপ। (বিস্তারিত জানতে উপরের লিংকে ক্লিক করে দেখে নিন)
ওলফগ্যান্গ লোটয মোসাদের সেলিব্রেটি গোয়েন্দাদের একজন।জার্মানী ইহুদি,১৯৩৩ সালে মাইগ্রেট হয়ে ফিলিস্তিনে চলে আসে। হিব্রু,আরবী ও ইংলিশে পারঙ্গম হয়ে ব্রিটিস বাহিনীর হয়ে যুদ্ব করে দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্বে। যুদ্বশেষে সন্ত্রাসী সংঘঠন হাগানাতে যোগ দেয় এবং পরে মোসাদে। মিশরে গোয়েন্দাগিরীর জন্য তাকেই সিলেক্ট করা হয়। সে মিশেরের এলিট ঘোড়ার রেইস খেলায় যোগ দেয় আর মিশরের বড় বড় কর্তাব্যাক্তিদের সাথে খাতির যুগিয়ে ফেলে। চেহারা সুরত জার্মানি হওয়া এবং সে বলত বিশ্বযুদ্বের সময় সে হিটলারের জেনারেল রোমেলের পক্ষ হতে যুদ্ব করেছে। রেডিও সিগনালের মাধ্যমে সে মিশর হতে তাদের মিলিটারির স্পর্শকাতর তথ্য পাঠাতো। মিশর তার পাঠানো রেডিও সিগন্যাল ট্রাকিং করে ধরে ফেলে তাকে। পরে ৬৭ এর যুদ্বে বন্দী হওয়া ৯ জন মিশরীয় জেনারেলের বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১৯৬৭ সালের যুদ্বে মোসাদের সপিস্টিকেটেড যন্ত্রের সাহায্য মিশরের গতিবিধি নজরে রাখতো, পরে একদিন সকালে সাতটা হতে আট টার মধ্যে, যে সময় মিশরের এয়ার ফোর্সের বেশীর ভাগই নাস্তা খায় এবং শিফট চেন্জ হয়, ঐ সময় ইসরাইল এট্যাক করে বসে। যুদ্বে রজন্য তৈরী থাকা ৩০০ এর ও বেশী বিমান ধংস হয়ে যায়। মাত্র ৬ দিন যুদ্ব করতে পারে আরবরা, যুদ্বের পুরো কৃতিত্বই গোয়েন্দা সংস্হার।
জর্ডানে ব্লাক সেপ্টেমবরের হত্যার পর এক নয়া গ্রুপ গড়ে উঠে ব্লাক সেপ্টেম্বর নামে । জার্মানির মিউনিখে অলিম্পিক গেমস চলাকালে এরা ৯ জন ইসরাইলী এথলেটকে কিডনাপ করে। ২০০ ফিলিস্তিনির মুক্তি ও নিজেদের সেইফ পেসেজ দেওয়া ছিলো ওদের দাবী, জার্মান সরকার মেনে নেয় এবং চুক্তির জন্য মিলিটারি এয়ারপোর্টে আসতে বলে। মিলিটারি এয়ারপোর্টে জার্মান স্পেশাল ফোর্স আগে হতেই প্রস্তুত ছিলো। অপহরনকারীরা যখনই বুঝতে পারে ওদের ট্রাপে ফেলা হয়েছে, তখনি সব বন্দী এথলেটদের হত্যা করা হয়। পুলিশের পাল্টাগুলিতে ৫ জন অপহরনকারী নিহত ও তিন জন বন্দী হয়।
ঘটনাটি ছিলো অতি ভয়াবহ, মোসাদ স্পেশাল টিম গঠন করে অপারেশান রথ অফ গড ঘোষনা করে। পুরো ইউরোপ জুড়ে ব্লাক সেপ্টেমবারগ্রুপকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়। ৭২ হতে ৭৩ পর্যন্ত এই গুপ্তহত্যার কাজ চলতে থাকে। পিএলওর নেতারা প্রায় দিশা হারাবার উপক্রম। ইউরোপ জুড়ে মোসাদের এই হান্টিং ডাউনে ভুলক্রমে নরওয়েতে এক নিরীহ মরোক্কান ওয়েটারকে হত্যা করে ফেলে মোসাদ। নরওয়ের পুলিশ ৬ মোসাদ এজেন্টকে গ্রেফতার করে।
১৯৭৬ এর জুনে ফ্রান্স হয়ে ইসরাইলগামী এক বিমান কে ফিলিস্তিনিরা হাইজ্যাক করে উগান্ডায় নিয়ে যায়। ওরা বিভিন্ন দাবী দাওয়া পেশ করতে থাকে। ইসরাইলী ও হোস্টেজকে উদ্বার করতে মোসাদ ইসরাইলী কমান্ডো সাথে নিয়ে চালায় অপারেশান থান্ডারবোল্ড
ঐ অভিযানের ক্ষিপ্রতা এতই ছিলো যে মাত্র ৯০ মিনিটে প্রায় সব বন্দীদের উদ্বার করা হয়। বিস্তারিত সংক্ষিপ্ত ভিড্যুতে দেখুন,
জনাথন পোলারড আমেরিকার নৌবাহিনীতে চাকরি করতেন, মূলত সে মোসাদের হয়ে আমেরিকায় কাজ করতো। আমেরিকার মিলিটারির অনেক গোপন দলিলপত্র চুরি করে ইসরাইলে পাচার করে দিতো। ইসরাইল ঐ দলিল সোভিয়েত রাশিয়াকে দিয়ে সামরিক সরন্জামের অনেক কিছুই হাসিল করে নিত। পোলারড একদিন ধরা খেয়ে যায়, এবং সারা জিবনের জন্য কারাদন্ড দেওয়া হয়। শুধু পোলারডের কাহিনী নয়, এই রকম অনেক আমেরিকান(ইহুদী) ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরের কাজ করতো আমেরিকার স্পর্শকাতর মিলিটারি রিসার্চ সেন্টারে।
মনিকা লিউনেস্কি ও ক্লিনটনের ফোনে আড়িপাতার কাজও ওরাই করেছিলো।
আশির দশকে অনেক ইরাকি নিউক্লিয়ার সাইন্টিস্টকে ইউরোপে এরাই হত্যা করেছে। ইসরাইলের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিপি লিবনি ছিলেন ঐ সময়কার লেডি স্পাই ফর মোসাদ এই সেই যিপি লিবনি, উনি টেরোরিস্ট!!!!! হামাস উৎখাতে বদ্বপরিকর, তার পিতা আইতান লিবনি ছিলেন ইহুদী টেরোরিস্ট গ্রুপ ইরগুন এর চীফ।
২০০৩ এর ইরাক যুদ্বের পর মোসাদ ইরাকের অনেক সাইন্টিস্ট ও একাডেমিয়ানকে হত্যা করেছে
পুরো ইরাক জুড়েই মোসাদ জাল বিছিয়ে রেখেছে ২০০৩ এর পর। আবু গরিব কারাগারের ইন চার্জ বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্হা আবু গরিব কারাগারের বন্দীদের ইনটারোগেশান করতো।
কানাডার এক সাইন্টিস্ট নতুন ধরনের অগ্নোয়াস্র তৈরী করে,নাম তার সুপারগান , তার এই প্রযুক্তি কেউই সাড়া দেয় নাই প্রথমে। পরে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ঐ প্রজেক্টের দিকে নজর দেয়। যা প্রজেক্ট ব্যবিলুন নামে পরিচিত। ঐ সুপারগানের আক্রমন ইসরাইল পর্যন্ত যাবে যা ইসরাইলের জন্য হুমকি। অতঃপর কানাডার সেই সাইন্টিস্ট গেরাল্ড বুলকে ব্রাসেলসে তার এপার্টমেন্টে পাঁচটা গুলি করে হত্যা করা হয়। কেউ সেই গুলির আওয়াজ ও শুনেনি, কেউ ধরা ও খায়নি।
১৯৮২ সালে ইসরাইল লেবাননে যুদ্বের পর সোভিয়েত তৈরী অনেক যুদ্বাস্র নিজেদের অধিকারে নিয়ে নেয়। পরে সিআইএ,মোসাদ ও পাকিস্তানের আইএসআই মিলে ঐ অস্রগুলো আফগানিস্তানে যুদ্বরত জঙ্গীদের দেয়। ভারতের “র” এর সাথে মোসাদের গোপন কাজ চললেও ওটা প্রকাশ হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর। মোসাদের সাথে পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাজ শুরু হয় জিয়াউল হকের আমলে।
৯/১১ এর পর সিআইএ, এফবিআই, মোসাদ ও আইএস আই একাকার হয়ে যায় ওয়ার অন টেররে। এই গোয়েন্দা গ্রুপগুলোর শত্রু এক ও অভিন্ন হয়ে যায় তালেবান ও আল কয়েদার বিরুদ্বে। ওয়ার অন টেররে বড় বড় আল কায়েদা ও তালিবান নেতাদের পাকিস্তানের আই এস আই গ্রেফতার করেছে, সি এই এ নয়,যেমন খালিদ শেখ মোহাম্মদ,লিব্বি,মোল্লা ব্রাদার। এর জন্য সবচেয়ে বেশী খেসারত ও দিতে হয়েছে আইএসআইকে। লাহোর থেকে ইসলামাবাদ হয়ে পেশোয়ার পর্যন্ত আইএসআইয়ের হেডকোয়ার্টার, অফিস, ওদের বহনকারী বাসের উপর অত্যন্ত ভয়ংকর হামলা চালিয়ে জানমালের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করে জঙ্গীরা।
“র” এবং মোসাদ উভয়েই নিজেদের এক্সপিরিয়েন্স বিনিময় করে। ইসরাইল ফিলিস্তিনি গেরিলাদের দমাতে যেসব কৌশল অবলম্বন করে , ভারত ওদের কাছ হতে সবগুলোই শিখে নেয়।যেমন, এক কাশ্মিরী গেরিলা একটা ঘর হতে ইন্ডিয়ান সৈন্যদের লক্ষ করে গুলি চুড়লো, ঐ জন্যে ঐ ঘর সহ আশেপাশের সব ঘরগুলো বুলডেজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। যাতে গেরিলারা ফিউচার এট্যাকে তিনবার ভাবে।
বর্তমান বিশ্বে কে কার শত্রু না মিত্র তা বুঝা বড় দায়। গত আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্বে ইরান সরকার আমেরিকাকে অনেকভাবে সাহায্য করেছে, তা সাবেক ইরানি প্রেসিডেন্ট খাতামির মুখ হতে শুনুন।
কিল খালিদঃ দ্যা ফেইলড এসেসাইনেশান অফ মোসাদ এন্ড দ্যা রাইস অফ হামাস বই হতে সংক্ষিপ্ত আকারে ঐ অপারেশানটা তুলে ধরছি। ১৯৮০ হতে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত মোসাদ দুর্দান্ত আকারে পিএলও এর নেতাদের হত্যা করে একেবারে কোমর ভেঙ্গে দেয়। পিএলও ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যায় স্বাধীনতা সংগ্রাম হতে। উল্টা পথে হামাসের উত্থান হতে থাকে। খালিদ মিশাল অনেক বড় হুমকি হিসেবে দেখা দেয়। ১৯৯৭ সালে খালিদ তার গাড়ি হতে নেমেই মাত্র হামাস অফিসে ঢুকবে এ সময়েই হাতে ব্যান্ডেজ লাগানো তিন জন কানাডিয়ান টুরিস্ট তার গাড়ির পাশেই ছিলো। একজন টুরিষ্ট(মোসাদ স্পাই) হটাৎ খালিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে তার কানে কিছু একটা পুশ করতে চায়, বিষ ঢেলে দিয়েছে তার শরীরে। চুম্বকটানের মত খালিদের দেহরক্ষী টুরিস্টের উপর পুরো শরীরের চাপ দিয়ে বসিয়ে দেয়। খালিদ ছিটকে দুরে সরে যায়। আক্রমনকারীদের একজন পালিয়ে গিয়ে ইসরাইলী এমব্যাসীতে লুকায়। বাকী দুজনকে খালিদের দেহরক্ষী আবু সইয়াফ ধাওয়া করে। নিজের এতোদিনের ট্রেনিং কাজে লাগায় সাইয়াফ। মল্লযুদ্বের মত কুস্টাকুস্তি হয় স্পাই ও সাইয়াফের মাঝে, স্পাইদের ধারালো যন্ত্রের সাহায্যে আহত হয়ে যায় সাইয়াফ, সাইয়াফের পাল্টা হেভি ঘুষিতে এক স্পাই মাটিতে পড়ে যায়। পরে সাইয়াফ হাসপাতালে এবং স্পাইদের পুলিশের কাছে পাঠানো হয়।
খালিদের অবস্হা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সে মারা যাবে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলো তাকে। জর্ডানের বাদশাহ হোসাইন এবার সরাসরি ফোন দেয় নেতানিয়াহুকে। যদি খালিদ মিশাল মারা যায়, তিন মোসাদ স্পাইকে হত্যা করা হবে, এবং ইসরাইলের সাথে শান্তি চুক্তি বাতিল হবে। এবার মোসাদের টনক নড়ে, মোসাদের চীফ নিজেই ল্যাবরেটরীতে মডিফাই করা বিষের প্রতিষোধক নিয়ে আম্মানে আসেন। খালিদ মিশাল সুস্হ হয়ে উঠেন।
এই ব্যার্থ হামলার ফলাফল এমনই করুন ছিলো যে মোসাদের চীফকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। খালিদ মিশালের উপর এই হামলায় কানাডার গোয়েন্দা সংস্হা (csis) ও জড়িত আছে।
অনেকেই গোয়েন্দা বই পড়েছেন বা জেমস বন্ডের মুভি দেখেছেন। এবার সিসিটিভির ক্যামেরায় ধরা খাওয়া সত্যিকারের গোয়েন্দাদের অপারেশান দেখুন।
২০১০ এ জানুয়ারিতে হামাস লিডার মাহমুদ আল মাবুহকে দুবাইতে রোটানা হোটেলের ভিতরে হত্যা করে মোসাদ। মোসাদ বিভিন্ন দেশ হতে দুবাইতে আসে। দুবাই পুলিশ জানিয়েছে এই হত্যায় ২৭ জন মোসাদ স্পাই অংশগ্রহন করে। মাহমুদ কে দুবাই এয়ারপোর্ট হতে অনুসরন করে মোসাদ। যে সব দেশ হতে মোসাদের গোয়েন্দারা দুবাই এসেছে, এবং দুবাই হতে বের হয়েছে।
সিসিটিভিতে ধরা খাওয়া পুরো ঘটনা দেখুন, এয়ারপোর্ট হতে হোটেল, শপিং মল, লবি হতে লিফট পর্যন্ত। যেভাবে হোটেল রুমে ওরা মাহমুদকে হত্যা করে। দুবাই পুলিশ একজনকেও ধরতে পারেনি, হত্যার পর সবাই এই দেশ ঐ দেশে চলে যায়। মাহমুদ একাই ছিলো, সাথে কোন বডি গার্ড ছিলোনা।
পরিশেষেঃ আমরা অনেকেই কথায় কথায় আরেকজন কে মোসাদের এজেন্ট বানিয়ে ফেলি। যাকে মোসাদের এজেন্ট ডাকা হয়, বাস্তবে মোসাদ ওটাকে গগনার মধ্যেই আনবেনা, রেস্ট এসাইড টু বি এ স্পাই। মোসাদ আবুল বা মফিজদের তার এজেন্ট বানায় না। বানায় ব্যাতিক্রমী লোকদের। যেমন, হামাসের প্রতিষ্ঠাতার ছেলে ও মোসাদের এজেন্ট, এটা অনেক পরে জানাজানি হয়। আমাদের দেশেও কিছু সুশীল আছেন মোসাদের পে-রোলে।