Main Menu

১২ বছর পর নবীনগরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ : নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের গত ২০১২ সালে দায়ের করা শফিক হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইদ্রিস মিয়ার সন্তান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করেছে নবীনগর থানা পুলিশ।
সরেজমিনে ইব্রাহিম পুর বাঁশ বাজার ইদ্রিছ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, তিনি বহু বছর আগেই বাড়ি টি বিক্রি করে চলে গেছেন। এ সময় ঐ এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১২ সালে সৌদি আরব প্রবাসী শফিকুল ইসলাম ছুটিতে দেশে আসার পর তার স্ত্রীরির সহযোগিতায় বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন শফিকুলের সৎ ভাই ও তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক জসিম উদ্দিন। এর পর বিষয় টি স্বাভাবিক অসুখ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে চালিয়ে দেন,শফিকুলের স্ত্রী।

পরে পুলিশের বিষয়টি গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় এবং শফিকুলের ৫ বছর বয়সী ছেলে কে জিজ্ঞেস করলে তার ছেলে জানায়, বাবাকে তার মা পায়ে চেপে ধরে ও তার চাচা জসিম বুকে বসে মুখে বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে হত্যা করেন।

এর পর মৃত শফিকুল এর বোন জোসনা জানান শফিকুলের খালাতো ভাই রাজন বাদী হয়ে ঘাতক জসিম ও তার পরকীয়া প্রেমিকা শফিকুলের স্ত্রী কে আসামী করে মামলা করেন ২০১২ সালে নবীনগর থানায়, এর পর কোর্টের অর্ডারে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের পর বেড়িয়ে আসে হত্যান্ডের রহস্য।

সেই সময় শফিকুলের ঘাতক স্ত্রী গ্রেফতার হলে ও জসিম উদ্দিন তার পরকীয়া প্রেমিকার সহযোগিতায় পালিয়ে যায় সিঙ্গাপুরে,এর পর থেকে জসিম পলাতক ছিলেন বলে জানান এলাকাবাসী।

এ বিষয় এ মামলার বাদী জানান এতো বছর পর আসামী আটকের খবরে আমাদের মনে শান্তি ফিরে এসেছে জসিম ও ঐ ঘাতক মহিলার কঠিন শাস্তির দাবী জানাই।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একটি টিম বিমানবন্দর এলাকায় গভীর রাতে অবস্থান করে জসিমকে আটক করে। নবীনগর থানা এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নবীনগর থানা পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে।






Shares