Main Menu

পুলিশ খুঁজছেন ইয়াবা সেবনকারী ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম মৃধাকে

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার ইয়াবা সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তাকে আটক করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার ইয়াবা সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তাকে আটক করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তিনি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ইয়াবা সেবনের ভিডিও এলাকায় ভাইরাল হলে গত ৭ এপ্রিল তাকে ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
তবে তিনি এখনো ইউপির চেয়ারম্যান পদে স্বপদে বহাল আছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় ও ইউপি মেম্বারদের মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার কয়েকমাস আগে মদ পান করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। এই ঘটনার কয়েক দিন পরই ওই ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের আটজন সদস্য ও তিনজন নারী সদস্য চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার বিরুদ্ধে মাদকাসক্ত এবং মাদক বেচাকেনার অভিযোগ তুলেন।
এছাড়া ইউপি সদস্যরা টি.আর কাবিখার টাকা আত্মসাৎ ও জন্ম-মৃত্যুর সনদ প্রদানে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়াও ৯ জন ওয়ার্ড মেম্বার ও তিন নারী মেম্বার চেয়ারম্যানকে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে লিলি বেগম নামের এক নারী মেম্বারকে জুতাপেটা করেন তিনি।
গত ৪ ফেব্রুয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার অপসারণের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ১১জন ইউপি সদস্য। তারা এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
ইউপি সদস্যদের এসব অভিযোগের জের কাটতে না কাটতেই সম্প্রতি চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার আরও একটি ইয়াবা সেবন করার ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় আবারও সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভিডিও ভাইরালের পর উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেন।
নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশিদ বলেন, ইয়াবা সেবনকারি কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে আটক করতে এরইমধ্যে আমরা একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। তিনি এলাকা ছাড়ে পালিয়েছেন।মাদক সেবনের অভিযোগে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের শেষে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।






Shares