Main Menu

সঠিক পরিকল্পনা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের কর্ম অবহেলাকে দায়ী করছেন সুশীল সমাজ

নবীনগরে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। কালের বিবর্তনে এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন আর বাংলার মানুষ ষড়ঋতুর ছোঁয়া পায় না। উল্লেখযোগ্য ভাবে ছোঁয়া পায় গ্রীষ্মকাল আর বর্ষাকালের। বর্ষাকাল বাংলাদেশের জন্য যেমন সুখের তেমনি দুঃখেরও। এই বর্ষাকালেই বাংলাদেশের প্রায় সব জায়াগাতে বৃষ্টির পরিমান বেড়ে যায়। যার ফলে দেখা দেয় বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা ও রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা।তারই প্রমাণ পাওয়া গেছে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সদর সহ পৌর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ডে।

নবীনগর উপজেলা সদরের ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে নবীনগর পৌরসভা। ১৯৯৯ থেকে ২০১৭ -এর মধ্যে নবীনগর পৌরসভা পার করেছে প্রায় ১৮ বছর। এই ১৮ বছরেও সঠিক পরিকল্পনা করে করা হয়নি পৌরসভার সকল ওয়ার্ডের পয়:নিস্কাশনের ব্যবস্থা, যার ফলে বর্তমানে সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌর সদরসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা আর এই জলাবদ্ধতার ফলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলাচল করছে পৌরবাসী।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নবীনগর সদর সহ পৌর এলাকার প্রায় সকল ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। নবীনগরের সুশীল সমাজ মনে করছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদাররা তাদের কাজ সঠিকভাবে না করার ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আবার পূর্বের অবস্থা হয়ে যায়। তবে কেউ কেউ বলছেন নবীনগরের ড্রেনজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক হওয়ার ফলে বৃষ্টির পানি নিস্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে।

কিছু কিছু জায়গায় ড্রেন না থাকায় পানি জমে জন সাধারণের চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে। এই ধরণের ভোগান্তিতে আছে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের জল্লা গ্রামের একাংশ। ওই ওয়ার্ডের জনসাধারণ বলছে, কমিশনার তাদেরকে একাধিকবার আশ্বাস দিয়ে বলেছে টেন্ডার হয়ে গেছে কিছুদিনের মধ্যেই কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও ওই এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের কাজ আজঅবধি হয়নি।

নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মুছা মনে করেন, পৌর কর্তৃপক্ষের একার পক্ষে এই সমস্যা সমাধান করা সময়ের ব্যাপার, তবে আমরা যদি নিজেই নিজের অবস্থান থেকে সচেতন হয়ে আমাদের ঘরবাড়ির ময়লা আবর্জনা বিশেষ করে পলিথিন জাতীয় কাগজ বা বস্তা, কাপড় ড্রেনে না ফেলে সঠিক স্থানে অথবা মাটিতে পুতে ফেলি তাহলে এই ধরণের সমস্যা কম হবে। এছাড়াও পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত সঠিক পরিকল্পনা করে ড্রেনজ ব্যবস্থা সংস্কার করা। যাতে বৃষ্টির পানি দ্রুত সরে যেতে পারে।
এই ব্যাপারে নবীনগর পৌরসভার মেয়র মো. মাইনুদ্দিন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করতে। তবে এই সমস্যাটা এক দিনের নয় দীর্ঘদিনের তাই একটু সময় লাগবে। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। সকলের সহযোগিতা আমাদের পাশে থাকলে, আশাকরছি পৌরবাসীকে আর বেশি দিন এই সমস্যা ভুগতে হবে না।






Shares