নবীনগরে শিক্ষার নামে চলচ্ছে রমরমা বাণিজ্য
মিঠু সূত্রধর পলাশ নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত অস্থায়ীভাবে ঘর ভাড়া করে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধীক কিন্ডরগার্টেন। গুটি কয়েক কিন্ডারগার্টেনে মানসম্মত পাঠদানের সু-ব্যবস্থা থাকলেও বাকী সব স্কুলে নেই । এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য নেই খেলাধুলার মাঠ। পাঠদান ও পাবলিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণে অনুমদন না থাকলেও এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা বছর শেষে বিভিন্ন স্কুলের নামে পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। অনেক শিক্ষার্থী জানে না সে কোন স্কুলের শিক্ষার্থী।
সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই নামে বেনামে গড়ে উঠেছে এসব প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠনে ভর্তি ফি,সেমিষ্টার ফি ও মাসিক ফি এর নামে কর্তৃপক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল টাকা। অনুমোদনহীন এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তপক্ষ শিক্ষার নামে চালাচ্ছেন রমরমা বাণিজ্য। শিক্ষার নামে এসব রমরমা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা মানসম্পন্ন শিক্ষা না পেলেও বাণিজ্যের সাথে জড়িতরা পরিকল্পিত ভাবে অল্প সময়ে অর্থের পাহাড় গড়ছে। আর এ সুযোগে ব্যাবসায়ীদের পাতানো ফাঁেদ নবীনগর উপজেলার অভিবাবকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি সমস্যায় পড়ছেন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো। আর নৈরাজ্যেও যা চলছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বই বিতরণসহ সকল প্রকার সহায়তা।
প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিদের ম্যানেজ করেই শিক্ষার নামে অশিক্ষার ব্যবসায় কোমর বেঁধে নেমেছে এসব সুযোগ সন্ধ্যানীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, উপেেজলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর অনেক শিক্ষকই এই ব্যবসার সাথে জড়িত। নিজের স্কুল ফাঁকি দিয়ে তারা দিব্বি এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে।
নবীনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আব্দুল আউয়াল জানান,উপজেলায় মোট ১১৮ কিন্ডরগার্টেন রয়েছে , যার একটারও অনুমদন নাই। তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার ব্যাংক হিসাব নাম্বারও নাই,স্কুল পরিচালনা কমিটি নাই। অপরিকল্পিত ও অবৈধ ভাবেই চলছে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কার্যক্রম। এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফ রফিকুল ইসলাম উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছে এবং আমিও জানাবো।