নবীনগরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রাণী করার অভিযোগ ! থানায় মামলা- অভিযুক্তদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য এমপির কঠোর নির্দেশ
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর থেকেঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক প্রদীপ দাসের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে আজ রবিবার (০৯/০৬/১৯) অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রদীপ দাস সহ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনা নিয়ে গত দু’দিন ধরে ফেসবুকে ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দুজন ছাত্রীর কথপোকথনের এ্কটি অডিও রেকর্ড ইতিমধ্যে এলাকার সর্বত্র ভাইরাল হয়ে গেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সলিমগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক প্রদীপ দাস দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে নানাভাবে যৌন হয়রাণী করে আসছিলেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগী একাধিক ছাত্রী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলামের কাছে বারবার প্রতিকার চেয়েওে কোন সমাধান পায়নি। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা মিছিল নিয়ে গত ৭ জুন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে (এমপি) পুরো ঘটনা জানিয়ে এর প্রতিকার দাবী করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা অভিযুক্ত সহকারি প্রধান শিক্ষকসহ ঘটনার প্রশ্রয়দাতা হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানায়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী জনৈক ছাত্রীর বড় ভাই বোরহান মিয়া বলেন,‘যৌন হয়রাণীর শিকার একাধিক ছাত্রী বারবার প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায়, আমি নিরুপায় হয়ে ছাত্রীদের পক্ষে এর কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে অবশেষে থানায় মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।’ এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনোজিত রায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম ও সহকারি প্রধান শিক্ষক প্রদীপ দাস সহ অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি হয়েছে। বিষয়টি সলিমগঞ্জের আইসি তদন্ত করছেন। তদন্ত পূর্বক দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
সলিমগঞ্জ স্থল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই ইহসানুল হাসান বলেন,”তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।” তবে এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে বারবার ফোন করেও তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
তবে একটি সূত্র জানায়, সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রদীপ দাসকে এলাকায় বিতর্কিত ও হয়রাণী করতেই একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে কাল্পনিক এই ঘটনাটি সাজিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলেই প্রদীপ মাস্টার নির্দোষ প্রমানিত হবেন। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল মুঠোফোনে বলেন,‘প্রায় ৩০ জন ছাত্রী গত ৭ জুন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমার কাছে এসে যৌন হয়রাণীর বিষয়ে নালিশ করে গেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত দুজন শিক্ষকসহ এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ওসিকে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।