নবীনগরে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয় পেলেন টিটু ছিটকে পড়লেন স্টিফেন
নবীনগর প্রতিনিধি: শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়ন দৌঁড় থেকে ছিটকে পড়লেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান স্টিফেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত করা এই ‘বিতর্কিত’ প্রার্থীকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটুকে দলের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় টিটুকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।
আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ছিলেন স্টিফেন। তবে তিনি ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ ও শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের ‘নিকট আত্মীয়’ অভিযোগ করে তাকে দলের মনোনয়ন না দেয়ার দাবি জানান মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এইচ.এম আল-আমিন আহমেদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস।
গত ২৮ জানুয়ারি নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমকে দায়িত্ব দেন দলীয় নেতারা। পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান স্টিফেনকে দলের একক প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। এরপর থেকেই স্টিফেনকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তিনি ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের ‘নিকট আত্মীয়’ বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে স্টিফেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু, আল-আমিন আহমেদ ও সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস। যদিও নবীনগরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন স্টিফেন। তিনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানের আত্মীয় বলে জানান।