আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর)
বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচনী মাঠ চষে রেড়াচ্ছেন, অবশেষে কারা পাচ্ছেন দলীয় টিকেট
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর থেকে: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনটি ২১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এই আসনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৪৬ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ৮১৪জন। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৪ হাজার ৮২৬ জন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ,বিএনপি,জাতীয় পার্টি ও জাসদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের এক ডর্জনের বেশি নেতাকর্মী মনোনয়নের প্রত্যাশায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্যতম এ আসনটি বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। ফলে আসনটি পুনরুদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। তবে ক্ষমতাসীনরাও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে প্রায় ডজন খানেক দলীয় প্রার্থী এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী। এদিকে নিজেদের ঘোচাতে একক পার্থী নিয়ে জাতীয় পার্টিও ব্যস্ত সময় পার করছেন। উল্লেখ্য যে, এই আসনটি থেকে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) তিন বার, জাতীয় পার্টি (নাফি)এক বার,আওয়ামী লীগ তিন বার, বিএনপি দুবার ও মহাজোট থেকে সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (ইনু) একবার জয়লাভ করে। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠঘাট চষে বেড়ানোর পাশাপাশি তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন পার্থীরা।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হচ্ছেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী সার্জেন্ট মজিবুর রহমানের ছেলে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল,ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড: কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল,উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সহ-সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন, ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কমিশনার ও দক্ষিন মহানগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মো: এবাদুল করিম বুলবুল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি,আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য আরিফুল ইসলাম ভূইয়া (টিপু), সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সংসদ সদস্য কাজী আকবরউদ্দিন সিদ্দিকের ছেলে, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কাজী জহিরউদ্দিন সিদ্দিক টিটু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায় কাল পত্রিকার সম্পাদক মো: আলামিনুল হক আলামিন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের (সংরক্ষিত) সদস্য ও উপজেলার মহিলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মেদ,বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা মো: হুমায়ুন কবির।
এছাড়াও ১৪ দলীয় নৌকা প্রতীকে সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ(ইনু) দুইবার মনোনয়নপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এড: শাহ্ জিকরুল আহামেদ খোকন। জাতীয় পার্টি থেকে একক ভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশি হলেন, জাতীয় পার্টির চেয়াম্যানের উপদেষ্টা ও জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব কাজী মো: মামুনুর রশিদ।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাষ্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নবীনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: সায়েদুল হক সাঈদ,সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম কাজী মো: আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও জেলা বিএনপির সদস্য কাজী নাজমুল হোসেন তাপস, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তকদির হোসেন মো: জসীম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক রাজিব আহসান চৌধুরী পাপপু, কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের সহকারী মহা সচিব মো: আলী আজ্জম জালাল, কেন্দ্রীয় আরাফাত রহমান কোকো যুব ও ক্রীড়া সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির কার্য নির্বাহী সদস্য মো: শাহিন আলম।
ইসলামি ঐক্যজোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেন, ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মাওলানা মো: মেহেদী হাসান। বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন মজলিসের শুরার সদস্য(চরমনাই পীর সমর্থীত) হাতপাখা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী, মাওলানা উসমানগণী রাসেল। ইতিমধ্যেই উল্লেখিত মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা নবীনগরের প্রতিটি গ্রাম মহল্লায় বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে তাদের নির্বাচনী প্রচারনায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন।