স্ত্রী ও সন্তানের অধিকার পেতে প্রেমিকার আদালতে মামলা : প্রেমিক পলাতক
নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি গ্রামে এক প্রেমিকা স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃ পরিচয় আদায়ে অবশেষে গত (২১/১০) মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-সিআর-২৪০/১৪। মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই অভিযুক্ত প্রেমিক। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বড়িকান্দি গ্রামের জনৈক এক দরিদ্র কৃষকের কন্যার সাথে একই গ্রামের মালন মিয়ার ছেলে তহিরুজ্জামান বাবুর দীর্ঘদিন যাবৎ মন দেয়া নেয়া চলছিল। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই প্রতারক প্রেমিক তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্ত:সত্বা হয়ে পড়ে। তখন প্রেমিক তহিরুজ্জামানকে মেয়েটি বিয়ের চাপ দিলে ওই প্রতারক প্রেকিম সটকে পড়ে। পরে বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়ে গেলে প্রতারক প্রেমিকের বাবা মালন মিয়া ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ অবস্থায় ছেলের বাবা টাকা পয়সা খরচ করে মেয়েটির পরিবারকে হুমকি ধমকি দিয়ে পার্শ্ববর্তী শাহবাজপুর গ্রামের আবদুল মালেক মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিনের সাথে মেয়েটির তড়িঘড়ি করে বিয়ে দিয়ে দেয়। তবে হেলাল উদ্দিন বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েটিকে তালাক দিয়ে দেয়। এর কিছুদিন পরই ওই অসহায় মেয়েটির কোল জুড়ে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
গত ১৮ অক্টোবর মেয়েটি তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে প্রতারক প্রেমিকের পরিবারের কাছে পুনরায় তার স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানের স্বীকৃতি চাইতে গেলে, কিছু ক্ষতিপূরন দেওয়া হবে বলে মেয়েটিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাহেব সরদাররাে একাধিকবার বৈঠক করেও কোন সুরাহা করতে পারেননি। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে অসহায় ওই মেয়েটি স্ত্রীর মর্যাদা ও নবাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় আদায় করতে বিজ্ঞ আদালতেে একটি মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে প্রতারক প্রেমিকের বাবা মালন মিয়ার সংগে কথা বললে, তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,‘এটি একটি সাজানো নাটক। আমাকে ও আমার ছেলেকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই তারা এ মিথ্যা মামলা করেছে। ‘
তবে এলাকাবাসি এ ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।