নবীনগরে দুইশ’ বছরের পুরনো মন্দিরের জায়গা জবরদখল!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ২০০ বছরের পুরনো মহাদেব মন্দিরের জায়গা স্থানীয় ভূমিদস্যুরা জবর দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছে। উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের দামলা গ্রামের মৃত আবদুল গফুর মিয়ার ছেলে গোলাম হোসেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীনতম এই মন্দির জবর দখল করে প্রাচীর নির্মাণের ঘটনায় থানায় জিডি হলেও পুলিশ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অবশেষে মন্দির কমিটি নবীনগর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বরাবর আবেদন করেছেন।
ওই আবেদনসুত্রে জানা যায়, বিগত ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ওই জবরদখলকারী ভুমিদস্যুদের ভূমিকা ছিলো বিতর্কিত। একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বহু হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদ করে জায়গা সম্পত্তি দখল করে তাদের গ্রামছাড়া করেছে। এলাকায় তাদের লোকজন নানা অপকর্ম করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। এরই ধারাবাহিকতায় তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ২০০ বছরের প্রাচীন এই মহাদেব মন্দিরের জন্য দানকৃত ১.৫ শতক ভূমির অন্দরে ০১ শতাংশ জায়গা জবরদখল করে পাকা প্রাচীর নির্মাণ করে ফেলে। গত ৫ আগস্ট বিষয়টি উল্লেখ করে নবীনগর থানায় জিডি করা হলেও কোন কার্যকর প্রদক্ষেপ না নিয়ে ওসি রূপক কুমার সাহা বিষয়টি অবগত নন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। এরই প্রেক্ষিতে উক্ত ভূমি উদ্ধারের জন্য মন্দির কমিটির সভাপতি বিমল চন্দ্র দেব সাংসদ বরাবরে একটি আবেদন করেন। গত সোমবার ওই আবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নবীনগর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল বলেন, ‘এ ধরণের অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করা হবে না। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু শাহেদ চৌধুরী বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আবেদনটি পেয়েছি। এমপি মহোদয়ের নির্দেশক্রমে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’