ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষনের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক গৃহবধূকে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর বিরুদ্ধে দেওয়া বিচার নিষ্পত্তি করে দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূ ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে গত সোমবার রাতে ৫জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে।
মামলায় বলা হয়, উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের ওই গৃহবধূ তার স্বামীর সাথে দাম্পত্য কলহের জের তার ২ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। স্বামী তাকে ভরন-পোষন না দেওয়ায় তিনি ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। মামলায় বলা হয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টির আপোষ-মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে গত ২ আগষ্ট রাত ১১টার দিকে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফরিদ মিয়াকে দিয়ে গৃহবধূকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডেকে নেন। পরে তাকে চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ও মেম্বার ফরিদ মিয়া পালাক্রমে ধর্ষণ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ গত সোমবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে আসামী করে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিষয়টি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। আমার প্রতিপক্ষরা ইশান্বিত হয়ে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ওই মেয়েকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা বলেন, আমরা ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।