পুলিশের মাদক বানিজ্য, ৩ গাজা ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিল পুলিশ !



বিশেষ সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলাটি মাদক জোন হিসেবে সুপরিচিত। কসবা থেকে এই নবীনগরের রোড দিয়ে সলিমগঞ্জ হয়ে নরসিংদী ঢাকা পাচার হয় মাদক। পুলিশে বানিজ্যও রমরমা । সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মাহবুবুল আলম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মঙ্গলবার রাতে তিনজন মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক রেখে বুধবার সকালে ছেড়ে দিয়েছে। যেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুল রহমান বাদল মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন সেখানে পুলিশের যোগসাজসে মাদক বাণিজ্য হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আটককৃত মাদক ব্রবসায়ীরা ছিলেন, নিলখী গ্রামের মৃত কনু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৩৫), মৃত রশিদ মিয়ার ছেলে হারিছ মিয়া (৩০), মৃত পন্ডিত মিয়ার ছেলে শিশু মিয়া (৬০)। ওই সে আই-এর বিরুদ্ধে মাদক বানিজ্যেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে আটক ৩ গাজা ব্যবসায়ী পুলিশকে টাকার বিনিময়ে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমরা মূলত গাজা খাই, গাজা ব্যবসা করি এই অভিযোগটা সঠিক না। পুলিশের কাছ থেকে কিভাবে মুক্তি পেয়েছি তা বলতে গেলে জামেলা হতে পারে।’
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মাহবুবুল আলম টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘৩ জনকে গাজা সেবন অবস্থায় আটক করেছি তা অবশ্য সত্য। স্থানীয় চেয়ারম্যান পরশ মিয়ার অনুরোধে মুসলেকা দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওদের পক্ষ থেকে অনেক টাকা দিতে চেয়েছিল কিন্ত আমি কোন টাকা পয়সা নেই নাই।’