Main Menu

নবীনগর থানার এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা ॥ ওসিকে তদন্তের নির্দেশ আদালতের

+100%-

প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার এক এস.আই এবং ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (নবীনগর) আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা  হয়েছে। মঙ্গলবার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (নবীনগর) আদালতের জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম  মনিরা সুলতানা মামলাটির তদন্তপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এর আগে গত সোমবার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মিস্ত্রীপাড়ার নকুল সূত্রধরের স্ত্রী লনী রানী সূত্রধর নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সফিকুল ইসলাম এবং উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হকের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (নবীনগর) আদালতে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার আদালত বাদী পক্ষের কৌশলী ও বাদীনির বক্তব্য শুনে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি তদন্ত করে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে লনী রানী সূত্রধরের ছেলে মিঠুন সূত্রধর উপজেলার শিবপুর বাজারের তার চাচাতো ভাই প্রানতোষ সূত্রধরের দোকানের তালা মেরামত করতে যান। সে সময় শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষের মহলাল ও মাহবুব নামের দুইজন লোক তাকে চোর বলে জড়িয়ে ধরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক ও শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। মিঠুনকে শিবপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে মারধর করেন এসআই সফিকুল।
খবর পেয়ে মিঠুনের মা লনী রানী ও ভাই প্রানতোষ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে মিঠুনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে এস.আই তাতে সাড়া দেয়নি। পর দিন সকালে শিবপুর বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় লোকজন ও এসআই সফিকুলকে নিয়ে সালিশে বসেন। সালিশে চেয়ারম্যান মিঠুকে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই সাথে তার পরিবারকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এলাকা না ছাড়লে তার পরিবারকে অগ্নিসংযোগ করারও হুমকি প্রদান করা হয়। লনী রানী পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে রায় কার্যকর করেন। পরে লনী রানী পুনরায় পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে তার ছেলেকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেন। সে সময় এস.আই সফিকুল ইসলাম লনী রানীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে মিঠুনকে ছাড়িয়ে নিতে বলেন। টাকা না দিলে মিঠুনকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। লনী রানী অনেক কষ্টে ওই দিন রাতে ১০হাজার টাকা নিয়ে এসআইকে দেয়। বাকি টাকা না দেওয়ায় এস.আই মিঠুনকে দুই রাত পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রাখে।
৩০ মে লনী রানী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবগত করেন। পুলিশ সুপারের ফোন পেয়ে ঐদিনই এস.আই সফিকুল আরেক এস.আই তফাজ্জল হোসেনের কাছে থাকা ১৮ মে এর এক মামলায় মিঠুকে আসামি দেখিয়ে জেলা কারাগারে পাঠান।
লনী রানী সূত্রধর বলেন, তার ছেলে মিস্ত্রির কাজ করে। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। সে চোর না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি তার কাছে কোন চাঁদা দাবি করেননি। তিনি বলেন, অভিযোগের প্রমান থাকলে বাদী সেগুলো প্রমান করতে হবে।  
এ ব্যাপারে শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হক বলেন, তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ছিল। তাই তার বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছে। তার পরিবারকে গ্রাম ছেড়ে দেওয়ার কথা তিনি বলেননি।






Shares