নবীনগরে দুর্বৃত্তের হাতে পুত্র খুন,পিতা আহত ॥ আটক-২



নবীনগর সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হাত-পাঁ বেঁধে সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় একই কায়দায় তার পিতাকেও খুন করার চেষ্টা করা হয়। এসময় দুর্বৃত্তরা ঘর থেকে নগদ ৪ লাখ টাকা স্বর্ণালংকার সহ দলিলপত্র নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার রাতে পৌর এলাকার আলমনগর গ্রামে। নিহতের নাম আরমান হোসেন-(১৪)। সে আলমনগর গ্রামের মুদি দোকানী আমীর হোসেন-(৪৫) এর ছেলে। এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের চাচাত ভাই নাজমুল-(২৫) ও প্রতিবেশী সোহেল মিয়া-(১৮)কে আটক করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পৌর এলাকার আলমনগর গ্রামের মুদি দোকানী আমির হোসেনের সাথে জায়গা সম্পত্তি ও দোকান নিয়ে তার বড় ভাই আজিজুল হকের বিরোধ চলছিল। গত রবিবার রাতে আমীর হোসেন তার ছেলে আরমানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ঘরে প্রবেশ করে আরমানকে হাত পাঁ বেঁধে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং আমীর হোসেনকে একই কায়দায় মারধোর করে মৃত ভেবে বাড়ির পাশে বাঁশের ঝাড়ে ঝুঁলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
সোমবার ভোর ৫টার দিকে তাদের গৃহকর্মী কাজ করতে এসে ঘরের ভিতরে ঢুকে আরমানের হাত-পাঁ বাঁধা লাশ দেখে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে আরমানের লাশ ও তার পিতা আমীর হোসেনকে ঘরের পাশে বাঁশের ঝাড়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে আরমানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ এবং আশংকাজনক অবস্থায় আমীর হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে আমীর হোসেনের স্ত্রী জোহরা বেগম বলেন, সম্পত্তির জন্যই আমার আমার ছেলেকে খুন ও স্বামীকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা ঘর থেকে নগদ ৪ লাখ টাকা,স্বর্ণালংকার সহ দলিলপত্র নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নাজমুল ও সোহেল মিয়াকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয় হবে।