পাস করলেই বিয়ে
প্রতিনিধি : কোন চাকুরির ইন্টারভিউ কিংবা পরীক্ষায় পাস নয় ৩য় ধাপের ১৫ই মার্চ উপজেলা নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কুমার মোশারফ হোসেন সরকার নির্বাচনে পাস করলেই কুমার জীবনের অবসান ঘটিয়ে বিয়ের বিড়িতে বসবেন বলে তিনি ঘোষনা দেন।
উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া গ্রামের মোশারফ ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ১৯৮৯ সালে নবীনগর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে ভিপি নির্বাচিত হন। তারপর থেকেই রাজনীতির সাথে উতপ্রতভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ বাংলাদেশ আওয়ামী শ্রমিকলীগের উপজেলা শাখার আহবায়ক, ২০০৪ থেকে ২০০৬ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং ২০০৪ থেকে অদ্যবধি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে মোশারফ চতুর্থ। বাবা এম.এ ওয়াদুদ সরকার একজন সরকারি চাকুরিজীবি ছিলেন পরে কনিকাড়া গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বার নির্বাচিত হন এবং মা রেহেনা বেগম গৃহীনি। মোশারফ গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী থাকা সত্বেও প্রায় ৪২ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এবার দল থেকে তৃণমুল নেতাকর্মীদের ভোটে বিজয়ী হয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতিক নিয়ে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ধন্দিতা করছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে ৪৪ বছর বয়ষ্ক কুমার মোশারফ এবার নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলেই বিয়ের পিড়িতে বসবেন বলে জানান।