নবীনগরে ধর্ষণের পর এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ ! গ্রেপ্তার ১
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রামে সুজিয়া বেগম (২৫) নামে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। সহকারি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান ও ওসি (তদন্ত) পেয়ার আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সরজমিনে সকালে ওই গ্রামে গেলে নিহতের মা রেনু বেগম ও বড় বোন সাহারা বেগম অভিযোগ করেন, প্রায় আট বছর আগে স্বামী পরিত্যাক্ত সুজিয়া বেগম (২৫) কে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক নয়টার দিকে পাশ্ববর্তী বাড্ডা গ্রামের মামুন মিয়া (৩৫) ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন ভোরে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড়ের নীচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে স্বজনেরা। তবে গ্রামবাসি বুধবার সকালেই মামুনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
নিহতের মা ও বোনের অভিযোগ,‘দুই সন্তানের জনক মামুন বেশ কিছুদিন ধরে সুজিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মূলত: বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মামুন জেদের বশে সুজিয়াকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে।’
নিহতের সাত বছর বয়সী সন্তান আশিক মিয়া সহকারি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করে,‘আমার আব্বা যাতে আমার আম্মার কাছে ফিরা আসে, সেইজন্য মামুন মিয়া নামের ওই লোকটা আমার আম্মারে একটা তাবিজ দেওয়নের কথা কইয়া গেছে রাইতে ঘর থাইক্যা আমার সামনেই ডাইক্যা লইয়া যায়।’
সহকারি পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মোহাম্মদ শফিউর রহমান বলেন,‘এ ঘটনায় মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে।’
তবে তিনি জানান, ‘নিহত ওই নারী ধর্ষিত হয়েছিলেন কিনা সেটি ডাক্তারী পরীক্ষার পরই বুঝা যাবে।’